মেলার প্রস্তুতি দেখতে ভিড়। মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে। —নিজস্ব চিত্র
জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিধি মেনে উৎসবের আয়োজনে খামতি রাখতে চাইছে না বিশ্বভারতী। আর তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলা শুরুর আগেই, এলাকায় ধুলোধোঁয়ার পরিমাণ যাতে কম থাকে সে জন্য রাস্তায় রাস্তায় জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণ এবং জরুরি পরিষেবা দফতরের মহড়ার কাজকর্মও জোরকদমে চলছে।
মেলার দিনগুলিতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যাতে জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, সে নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। মেলা কমে তিন দিন হওয়ায় বাড়তি ভিড়ের আশা করছেন অনেকেই। যাত্রীদের স্বার্থে সাহেবগঞ্জ-লুপ লাইনের উপর অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর আর্জিও জানিয়েছে বিশ্বভারতী।
উৎসব উপলক্ষে এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। লোকজনের ভিড়ে রাস্তা ধুলোয় ভরার আশঙ্কাও থাকছে। সেই ধুলো উড়া রুখতে জল দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত এলাকার বিধায়ক তথা মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে ফোনে বিষয়টি দেখার কথা জানিয়েছিলেন। সেই আর্জি মতো মন্ত্রীর নির্দেশে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের একাধিক রাস্তায় এবং উৎসব সংলগ্ন এলাকার রাস্তায় মঙ্গলবার সকাল থেকে জল দেওয়া শুরু করেছে বোলপুর পুরসভা।
এ দিকে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, উৎসবের সুস্থ পরিচালনার জন্য গঠিত একাধিক কমিটির সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অমিত হাজরা। কাজের অগ্রগতি কতটা, তা খতিয়ে দেখতেই ওই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। কমিটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৯৫০ স্টল এসেছে মেলায়। স্বপনবাবু জানান, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ এবং পরিবেশের বিধি মেনে পৌষ উৎসবের সার্বিক কাজকর্ম করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘উৎসবে শরিক হতে চাওয়া মানুষজনের কথা মাথায় রেখে আমরা রেলমন্ত্রকের কাছে বাড়তি ট্রেনের আর্জি জানিয়েছি।’’ এ দিনই উৎসবের আয়োজক, বিশ্বভারতী এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলের সামনে মেলার মাঠের একাধিক রো এবং স্টলে স্টলে ঘুরে পুলিশ ও দমকল বিভাগের লোকজন এক প্রস্থ মহড়া দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy