মেধাবী: অজয়। নিজস্ব চিত্র
মাথার উপরে ইন্দিরা আবাস যোজনায় পাওয়া টিনের চালটুকু সম্বল। বাবার দিনমজুরির আয়ে চলে সংসার। তা-ও এলাকায় সব সময় কাজ জোটে না বলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হয় তাঁকে। তাই উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করেও দুঃশ্চিন্তায় অজয়। এ বার ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৫২ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে সে।
দু’বছর আগে ওই স্কুল ৫৬২ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। ভূগোল নিয়ে পড়ে শিক্ষক হতে চায় অজয়। কিন্তু অনটনে তা আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়েই সংশয়ে মেধাবী এই ছাত্র। তার ভাই বিদ্যুৎ এ বার ওই স্কুল থেকেই মাধ্যমিক পাশ করেছে। স্থানীয় কুলিয়ারা গ্রামে অভাবের সংসার। বাবা সুধীর দাসের আয়েই নির্ভর অজয় এবং তার ভাই বিদ্যুতের লেখাপড়া-সহ চার সদস্যের সংসার। সুধীরবাবু এখন আসানসোলের একটি টায়ার কারাখানায় যৎসামান্য বেতনে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেদের পড়াশোনার জন্যই বাইরে পড়ে রয়েছি। তবু ওদের পড়ার খরচ জোগাতে হিমসিম খাচ্ছি। এত দিন তবু চলেছে। এ বার কী হবে জানি না।’’
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওর সমস্যার কথা জানি। কোনও ভাবে ওকে সাহায্য করা যায় কি না দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy