প্রতীকী ছবি।
কোথাও ১০ লক্ষ টাকার বাজেট নামিয়ে আনা হয়েছে দু’লক্ষ টাকায়। বড় বাজেটের পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকেই আবার শুধু নিয়মরক্ষার পুজোটুকুই করতে চাইছেন। করোনা সংক্রমণের জেরে পুজো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। যদিও শেষ মুহূর্তে বহু ক্লাব ছোট করে হলেও পুজো করতে উৎসাহী।
বোলপুরের একাধিক পুজো উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, খরচ বাঁচাতে থিম ছেড়ে সাবেকি পুজো করবেন। গত বছর বোলপুরের স্কুলবাগান সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজোর বাজেট ছিল ছ’লক্ষ টাকা। ছিল থিম। এ বারের বাজেট নেমেছে এক লক্ষ কুড়ি হাজারে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বোলপুর অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটির পুজো এবার ৩৩ তম বর্ষে পা দিল। গত বছর বাজেট ছিল ৮ লক্ষ টাকা। এবার ৩ লক্ষ টাকার বাজেট করা হয়েছে।
জাঁকজমক থেকে শুরু করে প্যান্ডেল, সব কিছুতেই করা হচ্ছে কাটছাঁট। সংক্রমণ এড়াতে সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বন্ধ রাখা হচ্ছে। উদ্যোক্তা অতনু ঘোষ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত একটি স্পন্সরও জোগাড় হয়নি। এক ধাক্কায় তাই বাজেট কমিয়ে দিতে হয়েছে।’’ বোলপুর জামবুনি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির গতবারের পুজোর বাজেট ছিল ১০ লক্ষ টাকা। সেখানে এ বার বাজেট রাখা হয়েছে সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। এ বছর ৩৭ তম বর্ষ। এই পরিস্থিতিেত প্রতিমার উচ্চতা থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব কিছুই কাটছাঁট করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। শুধু নিয়ম রক্ষার পুজোটুকু সারা হবে তাদের।
পুজোর উদ্যোক্তা তাপস মণ্ডল বলেন, ‘‘অন্য বার পুজোর তিন-চার মাস আগে থেকে কাজ শুরু হয়ে যায়। এ বার কিছুই হয়নি। বাজেটেও অনেক কিছু বাদ দিতে হয়েছে।’’ বড় বাজেটের পুজোগুলির অন্যতম ভুবনডাঙা আদি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। এ বছর ৭৬ তম বর্ষ। গত বছর বাজেট ছিল ৮ লক্ষ টাকা। এ বার তা দেড় লক্ষ টাকায় নেমে গিয়েছে। বোলপুর ত্রিশূলাপট্টি দুর্গামাতা ক্লাবের এ বারের পুজো ৬৯ বছরের। এই বছরের বাজেট গত বছরের তুলনায় আট
লক্ষ টাকা কম। পুজো কমিটির সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে ও সরকারের নিয়ম মেনে যতটুকু না করলে নয়, ততটুকু করেই এবারের পুজো করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy