নিকাশির ‘ত্রুটিতে’ খটখটে বসন্তেও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রের ঘরে জল ঢুকে আট দিন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ভরা বর্ষা হলে তো কথাই নেই। গত বর্ষায় জুলাই ও অগস্টে দু’বার জল ঢুকে শুধু এক্স-রে বন্ধই হয়নি, যন্ত্রেরও ক্ষতি হয়েছিল। তাই এ বার সমস্যা সমাধানে দ্বিমুখী পরিকল্পনা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন। এক দিকে, ডিজিটাল এক্স-রের ঘরটি হাসপাতালের নিচু এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য়ভবনে আবেদন করেছেন। অন্য দিকে, নিকাশির ‘ত্রুটি’ সারাতে হাসপাতাল সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ধারের নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য নালার উপরে বসা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, জল ঢুকে আট দিন ডিজিটাল এক্স-রে বন্ধ থাকায় দৈনিক প্রায় ৪০০ জন রোগী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গত বছর জুলাইয়ে জল ঢুকে ডিজিটাল এক্স-রে ঘরে শর্ট সার্কিটে যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ৬ লক্ষেরও বেশি খরচ করে আবার পরিষেবা চালু করা গিয়েছিল। আবার অগস্টেও জল ঢুকে পাঁচ দিন পরিষেবা বন্ধ ছিল। বার বার একই কারণে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় হাসপাতালের পুরনো ভবনে থেকে ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় পরিকল্পনা করা হয়েছে। হাসপাতলের সুপার ও উপাধ্যক্ষ পলাশ দাস জানান, ডিজিটাল এক্স-রের ঘর অন্যত্র সরানোর জন্য আবেদন জানিয়েছি। ডিজিটাল এক্স-রে পিপিপি মডেলে চলে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে এ বিষয়ে পিপিপি মডেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারের মতামত চাওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলে, সম্প্রতি জল ঢুকে যাওয়ায় শর্ট সার্কিটের আশঙ্কায় ডিজিটাল এক্স-রে বন্ধ রাখতে হয়েছে। ঘরটির স্থানান্তরের প্রয়োজন আছে। বিষয়টি আগামী রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে আলোচনার জন্য রাখা হবে।’’
সোমবার থেকে হাসপাতাল সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ধারে নিকাশি নালার সংস্কার শুরু করল প্রশাসন এবং তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই নালার উপরে ৫০টির বেশি দোকান আছে। তাদের যাবতীয় আবর্জনা নালায় ফেলা হয়। তাই দোকানদারদের সরে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দখলবাটি পঞ্চায়েতের পক্ষ রবিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে নিকাশি নালার উপর বসে থাকা দোকানদারের নিজেদের দোকান সরিয়ে নিয়েছেন। যন্ত্রের মাধ্যমে নিকাশি নালায় জমে থাকা আবর্জনা তুলে ফেলা হচ্ছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)