E-Paper

রেশনে গোলমাল, সাসপেন্ড ডিলার

ওজন করার যন্ত্রে ইট, বালি বা পাথর চাপিয়ে গ্রাহকের প্রাপ্য রেশনের সমপরিমাণ ওজনের ‘প্রিন্ট ভাউচার’ বার করে নেওয়া হত বলেও অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ০৬:৫৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ওজন করার যন্ত্রে ইট, বালি বা পাথর চাপিয়ে ‘ইপিওএস’ থেকে রেশন সামগ্রী বিলির স্লিপ বার করা, গ্রাহকদের প্রাপ্য রেশনপণ্য থেকে বঞ্চিত করা, গ্রাহকদের দুয়ারে রেশন না পৌঁছনো সহ-নানা অভিযোগ তুলে ডিলারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন গ্রাহকদের একাংশ। আড়শার শিরকাবাদ পঞ্চায়েতের সেনাবনা গ্রামের ঘটনা। জেলা পরিষদের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ নমিতা সিংহ মুড়া বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরে সভাধিপতি জেলা খাদ্য দফতরকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।” খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের জেলা নিয়ামক মহম্মদ জওহর আলম বলেন, “অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

গ্রাহকদের একাংশ সম্প্রতি স্থানীয় রেশন ডিলার ভবানী মাহাতোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগে তাঁদের দাবি, ওই ডিলার অনেককেই প্রাপ্য রেশনসামগ্রী সময়ে দেন না। গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে রেশন সামগ্রী বিলির ‘প্রিন্ট ভাউচার’ বার করলেও সেই রেশন গ্রাহকেরা কবে পাবেন, তার নির্ধারিত সময়সীমা নেই। এক গ্রাহকের দাবি, অনেকেরই এক মাস, কারও দু’মাসের রেশন বকেয়া রয়েছে। এমনকি, ওজন করার যন্ত্রে ইট, বালি বা পাথর চাপিয়ে গ্রাহকের প্রাপ্য রেশনের সমপরিমাণ ওজনের ‘প্রিন্ট ভাউচার’ বার করে নেওয়া হত বলেও অভিযোগ।

আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা খাদ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শকের নজরে আনলেও পদক্ষেপ হয়নি। সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের উপস্থিতিতে এক মাসের প্রাপ্য রেশন তাঁরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলেও এবং বকেয়া রেশন গ্রাহকদের দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও অনেকে রেশন পাননি। অভিযোগ নিয়ে ওই পরিদর্শক দেবব্রত রায়ের দাবি, “এ নিয়ে কিছু বলব না। যা জানানোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

তবে অভিযুক্ত রেশন ডিলারের ছেলে পঞ্চানন মাহাতোর দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। সময়মতো কোনও রেশন পণ্যের সরবরাহ না থাকলে গ্রাহকদের ‘প্রিন্ট ভাউচার’ দিয়ে পরে প্রাপ্য রেশন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর সংযোজন, “রেশন দেওয়ার পরে প্রিন্ট ভাউচারে তা লিখে দেওয়া বা ছিঁড়ে দেওয়া দরকার ছিল। গ্রাহকদের সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্কের সুবাদে বিশ্বাসের জায়গা থেকে তা করা হয়নি। কেউ কেউ তার সুযোগ নিয়েছেন।” সাসপেনশনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি আরও বলেন, “কিছু গ্রাহকের হয়তো কিছু রেশন প্রাপ্য রয়েছে। তা মিটিয়েও দেওয়া হচ্ছে।”

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রভাশিসলাল সিংহদেও বলেন, “সংগঠনের এক সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। দফতর পদক্ষেপ করেছে। কারও রেশন বকেয়া থাকলে তা মিটিয়ে দিতে হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ration purulia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy