প্রস্তাবিত নকশায় বোলপুর লালপুল। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব রেলের সাহেবগঞ্জ-লুপ লাইনের ওপর বোলপুরের সংকীর্ণ রেলসেতু লালপুলের সম্প্রসারণের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল সোমবার। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী তথা এলাকার তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে চিলেন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম ডি বদ্রিনাথ, বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরা। অনুপমবাবু আনুষ্ঠানিক ভাবে লালপুল সম্প্রসারণের কাজের সূচনা করেন।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, আমরা দাবি করেছিলাম। এখানে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। টাকা ও অনুদান এসেছিল। নানা রাজনৈতিক বাধায় ব্রিজের কাজ এত দিন শুরু হতে পারেনি। আজ সেটা আবার নতুন করে উদ্বোধন হল। ভাল লাগছে সরকারি উদ্যোগে এই কাজটা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে, রেলের প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী কাটোয়াতে রেলসেতু লালপুল সম্প্রসারণের বিষয় এবং কাজের টেন্ডার নিয়ে আনুষ্ঠানিক সুচনা করেছিলেন।
রেলসেতু লালপুল সম্প্রসারণের আনুষ্ঠানিক সূচনা অনুষ্ঠান পর, বোলপুরের রেল স্টেশনে যাত্রীদের জন্য ‘ফুট ওভারব্রিজ’ আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হল। ডিআরএম ঘুরে দেখলেন রেল স্টেশন এবং চত্বর লাগোয়া এলাকা। ডি বদ্রিনাথ বলেন, “যাত্রীদের জন্য নতুন নতুন প্রকল্প আমরা শুরু করছি। বোলপুরে রেলসেতু লালপুলের সম্প্রসারণের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল।’’ তিনি বলেন, ‘‘স্টেশনের এবং যাত্রীদের যা সমস্যা হবে আমরা দ্রুত সমাধান করবো। যাত্রী নিরাপত্তার জন্য লাগাতার সচেতনতা চলছে। আচমকা রেল সুরক্ষা বাহিনী হানা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এবং ট্রেনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। রেল যাত্রীদের মধ্যে জন সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নাটকের মতো বিষয়গুলিকে মাধ্যম করছি।”
হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, “হকারদের উচ্ছেদ করা হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা কথা চিন্তা ভাবনা করেই এই উদ্যোগ। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এবং তাদের সহায়তায় এই কাজ হবে। বাইপাস, স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা এবং অস্থায়ী রাস্তার প্রস্তাব বোলপুরের পুরপ্রধান দিয়েছেন। সে বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করে দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy