পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব, শিল্পকলা ও লোক-সংস্কৃতি বিষয়ক সংগ্রহশালায় যুক্ত হল সিন্ধু সভ্যতার বেশ কিছু নিদর্শন। দিল্লি নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী সান্দীপনি ভট্টাচার্য তাঁর নিজস্ব সংগ্রহ থেকে নির্দশনগুলি সংগ্রহশালার জন্য দিয়েছেন, জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মহেঞ্জোদড়োর সভ্যতা আবিষ্কারের শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় নিদর্শনগুলির অন্তর্ভুক্তিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পুরুলিয়া ও সংলগ্ন জেলার নানা প্রত্নবস্তু, হস্তশিল্পের সামগ্রী, প্রত্নস্থলের বিভিন্ন নিদর্শনের প্রাচীন ছবি-সহ জেলার লোক-সাংস্কৃতিক নানা উপাদান রয়েছে ওই সংগ্রহশালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর ও রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এ বারে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শনগুলিও সেখানে যুক্ত হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়। উপাচার্য বলেন, “সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় যুক্ত হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে শুধু আনন্দের নয়, গর্বেরও বিষয়। নিদর্শনগুলি সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করবে।”
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ‘ডিন’ সোনালি মুখোপাধ্যায় সান্দীপনিবাবুর কাছ থেকে নিদর্শনগুলি নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “দশটি নিদর্শন তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি। সেগুলির মধ্যে প্রস্তর নির্মিত ঘনকাকৃতি বাটখারা, মাটির ছাঁকনির মতো জিনিস, পোড়ামাটির বালা, মাটির ‘কেক’, যা আগুনের তাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হত; ‘ডিশ অন স্ট্যান্ড’, যা হরপ্পা সভ্যতার নিজস্ব তৈজস; কুমোরের চাকায় নির্মিত মাটির পাত্র, ‘হাকরা ওয়ার’, যা সূক্ষ্ম কোনও জিনিস দিয়ে ঢেউ খেলানো পদ্ধতিতে কারুকাজ করা মাটির পাত্র রয়েছে।”