E-Paper

পুজোর আগেই কি যান চলবে তিলপাড়ায়

জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলাধার বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদের পরামর্শ মেনে ম্যাকিনটস বার্ন সংস্থা যে সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল, তার একাংশের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

সৌরভ চক্রবর্তী

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৫ ০৮:২০
তিলপাড়া জলাধার।

তিলপাড়া জলাধার। ফাইল চিত্র।

পুজোর আগেই তিলপাড়া জলাধারের উপরের রাস্তা যান চলাচল শুরু হয়ে যেতে পারে। অন্তত ছোট গাড়ি ও বাস চলাচলে ছাড়পত্র পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে সেচ দফতর সূত্রে।

সেচ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, আগামী ১০-১৪ দিনের মধ্যে জলাধারের সাময়িক সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার পরে সেচ দফতর ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদল জলাধারের উপরের রাস্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। তাঁরা সবুজ সঙ্কেত দিলে শুরু হয়ে যাবে যান চলাচল। তবে, এই মুহূর্তে দ্রুত সংস্কারের কাজ শেষ করার দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য এবং ভারী যান চলাচলের জন্য আপাতত তিলপাড়া জলাধারের পাশেই অস্থায়ী বিকল্প রাস্তা তৈরির অনুমোদন চেয়ে সেচমন্ত্রীকে জেলা পরিষদের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন সভাধিপতি কাজল শেখ।

জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলাধার বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদের পরামর্শ মেনে ম্যাকিনটস বার্ন সংস্থা যে সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল, তার একাংশের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রথমে জলাধারের যে পথ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে, সেদিকের দুই প্রান্তের কাজ শুরু করা হয়। দিন চারেক আগে তা শেষ হয়েছে। এখন জলাধারের মাঝখানের অংশের সংস্কার শুরু করেছে সংস্থা। সূত্রের খবর, জল বেরিয়ে আসার পথের সামনে লোহার খাঁচায় পাথরের বোল্ডার ভরে যে কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, তা জলাধারের ক্ষতি আটকাতে সক্ষম হয়েছে। এখন সেই পথ দিয়ে জল বের করাও হচ্ছে। মাঝের অংশের লকগেটগুলি বন্ধ রেখে সেখানেও এই একই পদ্ধতিতে কাঠামো তৈরির কাজ চলছে।

পাশাপাশি যে কাঠামোগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছিল, সেগুলিকেও ওই অবস্থাতে রেখেই সিমেন্ট দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, জলাধারের ১৫টি লকগেটের মধ্যে এখন ৭টি লকগেটকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খোলা হচ্ছে। সংস্কার কাজ শেষের পরে জলাধারের অবস্থা কেমন থাকছে, তা খতিয়ে দেখতে দফতরের বিশেষজ্ঞদল পরিদর্শনে আসবে। তারাই যান চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। জলাধারের উপরের রাস্তা যেহেতু ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অংশ, তাই যান চলাচলের ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের পরামর্শও নেওয়া হবে।

ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে জলাধার সংস্কারের যা পরিস্থিতি, তাতে ভারী ট্রাক বা ডাম্পার চলাচল করার ক্ষেত্রে সমস্যা দিলেও পুজোর আগেই ছোট গাড়ি বা বাস চলাচলের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিলতে পারে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Reservoir

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy