বছরখানেক আগের কথা। ব্লক অফিস থেকে ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া হাইস্কুলে দেওয়া হয়েছিল স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন। সেই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় আঠেরোশো। ৫০ শতাংশই ছাত্রী। কিন্তু ছাত্রীদের কমনরুম দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অযোগ্য। তাই ওই যন্ত্র বসানো হয় স্কুলের অফিসঘর লাগোয়া সিঁড়ির নীচে। শিক্ষকরা তো বটেই, সেখানে অবাধ যাতায়াত রয়েছে ছাত্রদেরও। তাই স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময় অস্বস্তিতে পড়ে ছাত্রীরা।
এটা মাত্র একটা উদাহরণ। কিন্তু জেলার বিভিন্ন স্কুলে পরিস্থিতি এমনই। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলে ওই যন্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। কয়েকটি স্কুলে পরীক্ষামূলক ভাবে দেওয়া হয়েছে ওই যন্ত্র। কিন্তু সেটি কোথায় বসানো হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অনেক স্কুলের কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই যন্ত্র বসানোর উপযুক্ত জায়গা নেই সে সব স্কুলে। প্রশ্ন উঠেছে, এমন ক্ষেত্রে ওই যন্ত্র নিয়ে কী করা যাবে?
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এখনও অনেক গ্রামীণ এলাকার দোকানে মেলে না স্যানিটারি ন্যাপকিন। কোথাও তা থাকলেও লোকলজ্জায় অনেকেই দোকান থেকে তা কিনতে পারে না। সেই সমস্যা মেটাতেই স্কুলে স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলির যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যাতে স্কুলে থাকাকালীন ছাত্রীদের কখনওই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়। কিন্তু সেই যন্ত্র বসানোর জায়গা খুঁজতে গিয়ে হয়রান কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে কো-এডুকেশন স্কুলে সেই সমস্যা আরও বেশি।