ধানাড়া প্রাথমিক স্কুল। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়
মাটির দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। সেখানে মাঝেমধ্যেই উঁকি মারে ‘সাপ’। জীর্ণদশা ছাউনির। বাঁকুড়ার খাতড়ার ধানাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর হাল এমনই, অভিযোগ খুদে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের একাংশের। শিক্ষা দফতরের দাবি, নতুন ভবন নির্মাণের জন্যটাকা এসেছিল। কোথায় ভবন তৈরি হবে, তা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে মতানৈক্য থাকায় তা ফেরত গিয়েছে।
খাতড়ার ধানাড়া, বনশোল, পলাশডিহি গ্রামের ৭২ জন শিশু পড়াশোনা করতে আসে ১৯৫৪-এ প্রতিষ্ঠিত এই প্রাথমিক স্কুলে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন চার জন। স্কুলের ঘরেই মজুত থাকে মিড-ডে মিলের সামগ্রী ও আসবাবপত্র। বাধ্য হয়ে বারান্দায় চলে পঠন-পাঠন। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, ভাঙা দেওয়ালের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই বিষধরসাপ দেখা যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জীতেন্দ্রনাথ শবর জানান, বৃষ্টি হলে বারান্দায় বসানো যায় না। তখন একসঙ্গে সব শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীকে গাদাগাদি করে বসাতে হয় একটি ঘরে। সম্প্রতি, স্কুলের ঘর থেকে সাপ বেরোনোর কথাও তিনি শুনেছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক। তার পরে, কীটনাশক ছড়িয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকের দাবি, দ্রুত নতুন স্কুল ভবন তৈরি হোক।
ধানাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গ্রামের মূল রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় ভবন তৈরি হোক। অন্য অংশের দাবি, পুরনো স্কুলের জায়গায়তেই নতুন ভবন তৈরি হোক। দুই খুদের অভিভাবক সুজিত সিংহ ও দুলাল বাউরি-সহ অনেকে চান, রাস্তার পাশের জায়গাতেই দ্রুত স্কুলের ভবন তৈরি করা হোক।
অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (খাতড়া পূর্ব ২ চক্র) সুকুমার হালদার জানান, তিনি স্কুলের অবস্থা দেখে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগে দু’বার স্কুলের বাড়ি তৈরির অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। বাসিন্দাদের মধ্যে জায়গা নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে তা ফেরত গিয়েছে। ফের বরাদ্দ হলে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন ভবন তৈরি হবে। আপাতত অন্য জায়গায় ক্লাস করানোর ভাবনাচিন্তা চলছে।’’
বিডিও (খাতড়া) অভীক বিশ্বাস বলেন, ‘‘এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy