পুরুলিয়া স্টেশনে গণধর্ষণের ঘটনার পরে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে সরব হল এসইউসি। মঙ্গলবার এই দাবিতে পুরুলিয়ার স্টেশন ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পুরুলিয়া স্টেশন চত্বরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে জিআরপির কাছে অভিযোগ জানান রাঁচির বাসিন্দা এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, রাঁচি ফেরার ট্রেন ধরার জন্য তিনি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় এক যুবক তাঁর সঙ্গে আলাপ জমায়। তারপরে তাঁকে ফুঁসলিয়ে স্টেশন লাগোয়া শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে ওই তরুণী জিআরপির কাছে অভিযোগ করেছেন। ওই সন্ধ্যায় আরও এক যুবক তাঁর উপরে অত্যাচার চালায় বলেও অভিযোগ ওই তরুণীর। অভিযোগ পেয়ে রেলপুলিশ প্রথমে এক যুবককে গ্রেফতার করে। রেলপুলিশ সূত্রের খবর, এই যুবক পুরুলিয়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে খাবারের দোকান চালায়। তাকে জেরা করেই পুলিশ আর একজনের সন্ধান পায়। সে স্টেশন চত্বরে গাড়ি চালায়।
এই ঘটনার পরে পুরুলিয়া স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে স্টেশনে সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও কেন যাত্রীদের উপর নজর রাখা হবে না? যদিও ঘটনার পরে প্রকাশ্যে এসেছে যে সিসিটিভিগুলিই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে অনেকদিন।
এসইউসি-র জেলা কমিটির সদস্য রঙ্গলাল কুমার বলেন, ‘‘সন্ধ্যাবেলায় যদি স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে তাহলে যাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়? স্টেশনে জিআরপি এবং আরপিএফ থানা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই চত্বরে এক মহিলা যাত্রীকে ধর্ষিতা হতে হয়? আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি তুলেছি।’’ একই দাবি উঠেছে শহরের বিভিন্ন মহল থেকেও।
পুরুলিয়ার স্টেশন ম্যানেজার অমিতাভ মজুমদার বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দল যাত্রীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। আমরাও একমত। জিআরপি এবং আরপিএফের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই কিছু ব্যবস্থা চালু করছি।’’
পডু়য়াদের পাশে। জেলার দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াল বাঁকুড়া জেলা পরিষদ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ জেলার প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রীকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল। মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, ডিএম মৌমিতা গোদারা বসু, এসপি সুখেন্দু হীরা প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy