দুটি মাত্র অক্ষরের হেরফের। কিন্তু সেই হেরফেরের কোপেই মেলেনি জন্মের শংসাপত্র। নিজের সেই ভুল পদবির ত্রুটি সংশোধন করতে বছর খানেক ধরে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি। শেষমেশ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতীর স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ মিদ্যা। কীর্ণাহার পোস্ট অফিসপাড়ার ঘটনা।
নিজের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শংসাপত্র এমনকী পুরুষানুক্রমে পরিবারের সদস্যদের পদবি রয়েছে মিদ্যা। গোল বেঁধেছে তার জন্মের শংসাপত্র নিয়ে। ১৯৯৪ সালে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দ্বিজেন্দ্রনাথের জন্ম হয়। ওই বছরই সংশ্লিষ্ট বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাঁর জন্মের শংসাপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু পদবির জায়গায় মিদ্যার বদলে লেখা হয় মির্ধা। আদালতের হলফ নামা সহ ওই ভুল সংশোধনের জন্য বছর খানেক ধরে প্রশাসনের সকল স্তরে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষে বুধবার চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
দ্বিজেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে এ ব্যাপারে আর কিছু করার নেই। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছি যে ভুল প্রশাসনের। তার মাসুল আমাকে কেন গুনতে হবে।’’
তাঁর দাবি, ‘‘এতদিন কোনও সমস্যা না হলেও এখন সব ক্ষেত্রেই জন্মের শংসাপত্র চাওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সরকারি নথির সঙ্গে জন্মের শংসাপত্রের পদবির মিল হচ্ছে না। তাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’’
জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘এমনটা হওয়ার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই ছাত্র আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি তাঁর পদবি সংশোধনের ব্যবস্থা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy