কর্মস্থল থেকে অবসর এখনও এক মাস দেরি। সেই সময়ের আগে স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস ও বার্ষিক অনুষ্ঠান শেষ বারের মতো উপস্থিত হয়ে স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে পাশে দাঁড়ালেন স্কুলের বর্তমান প্রধানশিক্ষক।
বুধবার ছিল রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ৬২তম প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই প্রতিষ্ঠা দিবসেই অন্যন্য বছরের মতো স্কুলের ক্রীড়া ও মেধা ভিত্তিক বার্ষিক পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের ২১ বছর দায়িত্ব পালন করে এসেছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক গৌরচন্দ্র ঘোষ। আগামী মাসের ৩১ মার্চ তাঁর কর্মজীবন থেকে অবসর নেবেন। কর্মজীবনে স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নিজের চোখে দেখেছেন স্কুলের পরিকাঠামো গত কিছু আভ্যন্থরীন সমস্যা। কর্মজীবনের শেষ লগ্নে এসে তাই তিনি স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে দান করলেন পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক। বুধবার সেই চেক স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি বিভাস রায়চৌধুরীর হাতে তুলে দিলেন তিনি।
গৌরচন্দ্র বলেন, ‘‘একুশ বছরে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পাঠদানের গুনগত উন্নয়নের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয় জেলার সেরা হিসাবে ‘বিদ্যালয়রত্ন” পুরস্কার পেয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো গত উন্নয়নের অনেক কাজ এখনও বাকি আছে। সেই উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্কুলের উন্নয়ন যজ্ঞে আমি নিজেও সামিল হওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দান করলাম।’’
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বিভাস রায়চৌধুরীও স্কুলের পানীয় জল ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্কুলে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। স্কুলের উন্নয়নে বর্তমান প্রধানশিক্ষক গৌরচন্দ্র ঘোষের পঞ্চাশ হাজার টাকার দান প্রসঙ্গে বিভাসবাবু জানান, ‘‘গৌরচন্দ্র ঘোষের আমলে স্কুলের সার্বিক দিক থেকে উন্নতি সাধন হয়েছে। এ হেন একজন প্রধানশিক্ষকের অবর্তমানে স্কুলের উন্নয়ণের ধারাকে বহন করে নিয়ে যাওয়াটাই হবে সকলের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।’’ স্কুলের উন্নয়নে প্রধানশিক্ষকের পঞ্চাশ হাজার টাকা দান প্রদানের অনুষ্ঠানে ছিলেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস, সহকারী স্কুল পরিদর্শক দেবাশিস রায় চৌধুরী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জন। ছিলেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ও ছাত্ররা। গৌরচন্দ্র যখন পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন তখন অনুষ্ঠান মঞ্চ সকলের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠল। প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘স্ত্রী রুপালী ঘোষও স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজে এই দানের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আশা করব স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে ওই টাকা সদর্থক কাজেই ব্যবহৃত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy