Advertisement
E-Paper

বিধি না মানায় হোটেল বন্ধের নির্দেশ

বোলপুর-শান্তিনিকেতনে লজ, হোটেলের সংখ্যা কম নয়। গত কয়েক বছরে শান্তিনিকেতন এলাকা ও কোপাই নদী, সোনাঝুরি অঞ্চলে তার সংখ্যা বেড়েছে। পর্যটনের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা মতো গড়ে ওঠা এই নতুন লজ-হোটেলগুলির আইনি ছাড়পত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঘটনা হল, রমরমিয়ে ব্যবসা করলেও সেই অর্থে সরাই বিধি অনুযায়ী অনেকের কাছে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কোনও ছাড়পত্র নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০১:৪৮
এই সেই নোটিস। নিজস্ব চিত্র।

এই সেই নোটিস। নিজস্ব চিত্র।

‘বিধি না মানায়’ শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি এলাকার একটি হোটেল বন্ধ করার নির্দেশ দিল বোলপুর মহকুমা প্রশাসন। বুধবার ওই হোটেল মালিককে এই মর্মে, নির্দেশ দিয়েছেন বোলপুরের মহকুমাশাসক। মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা বলেন, “প্রায় মাস ছয়েক আগে, এলাকার হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে সরাই আইন (১৮৬৭)-এর বিধি মেনে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। একাধিক বার সতর্ক করা সত্বেও, সংশ্লিষ্ট সব দফতরের ছাড়পত্র না থাকায়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। আপাতত, ওই হোটেল বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

বোলপুর-শান্তিনিকেতনে লজ, হোটেলের সংখ্যা কম নয়। গত কয়েক বছরে শান্তিনিকেতন এলাকা ও কোপাই নদী, সোনাঝুরি অঞ্চলে তার সংখ্যা বেড়েছে। পর্যটনের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা মতো গড়ে ওঠা এই নতুন লজ-হোটেলগুলির আইনি ছাড়পত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঘটনা হল, রমরমিয়ে ব্যবসা করলেও সেই অর্থে সরাই বিধি অনুযায়ী অনেকের কাছে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কোনও ছাড়পত্র নেই। চলতি বছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। পরিবেশপ্রেমীদের তরফেও শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে ব্যবসার অভিযোগ তোলে। তাঁদের দাবি, ‘‘সোনাঝুরি এলাকায় বেআইনি ভাবে লজ-হোটেল গড়ে তোলা হয়েছে। এতে বল্লভপুর অভয়ারন্যের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।’’

এর আগে বন দফতরের জায়গা দখল করে হাট এবং হোটেলের জন্য রাস্তা বানানোর অভিযোগ ছিল একাধিক হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট মহল থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে, নড়েচড়ে বশে জেলা ও মহকুমা প্রশাসন। বন দফতর নিজের এলাকা চিহ্নিত করে, বেআইনি দখল রুখতে জমি ঘিরে রাখার উদ্যোগ নেয়। তার পরে পরেই সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নিয়ে বৈঠকে বসে মহকুমা পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে সরাই বিধি মেনে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের ছাড়পত্র নিতে হোটেল ব্যবসাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রাথমিক ভাবে হোটেল এবং রেস্তোরাঁ ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, পুলিশ ও দমকল দফতরের ছাড়পত্র, খাদ্য দফতরের ছাড়পত্র, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র, জমিজমা কাগজপত্র, খাজনা, আয়কর-সহ একাধিক দফতরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। ওই হোটেল মালিকের পক্ষে গণেশ ঘোষ বলেন, ‘‘অন্য সব দফতরের ছাড়পত্র মিলেছে। দমকল এবং খাদ্য দফতরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছি। হোটেল বন্ধ করার জন্য মহকুমাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন। হোটেলে লোকজন রয়েছেন, দিন কয়েক সময় চাইব।’’

Hotel Santiniketan Bolpur বোলপুর শান্তিনিকেতন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy