Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Ramadan

রমজানে চড়েছে আনাজ, ফলের দাম

ফলের দাম শুনে অনেকেই শুধু খেজুর কিনে বাড়ি ফিরছেন।

নলহাটির ফল বাজারে।

নলহাটির ফল বাজারে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মুরারই  শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২১ ০৯:২২
Share: Save:

রমজান মাসে ফল ও আনাজ বাজারে বিভিন্ন সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। ফলে সমস্যায় মধ্যবিত্ত থেকে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, ফলের বাজার অগ্নিমূল্য। ফলের দাম শুনে অনেকেই শুধু খেজুর কিনে বাড়ি ফিরছেন। সাধারণ আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কিলো। একটু ভাল হলে ২০০ টাকা কেজি প্রতি। যা আগে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হত। মৌসম্বির একটির দাম ৪০ টাকা। আগে ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হত। আঙুর ১২০ টাকা, আগে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেদানা ১৮০ টাকা কিলো। তাছাড়াও বিভিন্ন ফলের দাম বেড়েছে।

রমজান মাসে অনেকেই রোজা রাখেন। সেই জন্য ফলের দাম বেড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। অন্য দিকে, যে শসা ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হত। এখন দাম দ্বিগুণ, ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মুরারই ও নলহাটি বাজারে। অথচ, এই দুই এলাকার চাষিরা প্রচুর পরিমাণে শসা চাষ করেন। ছোট লেবু ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে বেড়ে ২৫ টাকা হয়েছে। সর্ষের তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ১৭৫ টাকা লিটার হয়েছে। এই ভাবে দাম বাড়লে কী ভাবে সংসার চালাবেন, ভাবনা হয়েছে অনেকের। এই এলাকায় অনেক দুঃস্থ মানুষজন বসবাস করেন। মাসের শেষে আয় কয়েক হাজার টাকা। সেই সব পরিবার অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন।

মুরারইয়ের বাসিন্দা মতিউর শেখ বলেন, ‘‘নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করি। মাসের অনেক দিন কাজ জোটে না। যে ভাবে খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ছে তাতে নুন-ভাত খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রশাসন এই সব বাজারের বিক্রেতাদের উপরে নজর রেখে ফল ঠিক দামে বিক্রি করলে আমাদের মতো মানুষজনকে অসুবিধেয় পড়তে হয় না।’’ রাজগ্রামের বাসিন্দা কালু শেখ, আলী হোসেনরা বলেন, ‘‘রোজার মাসে ফলের চাহিদা বাড়ে। আমাদের এই এলাকায় পাথর শিল্পে অনেকেই ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। এত টাকা দিয়ে আমরা ফল কিনতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Price Hike Fruits Ramadan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE