Advertisement
০৩ মে ২০২৪

মা-কে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি, কারাদণ্ড

জীবিত মা-কে মৃত দেখিয়ে জাল দলিল বানিয়ে জমি বিক্রি করার অপরাধে ছেলে এবং ক্রেতা-সহ তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৫৫
Share: Save:

জীবিত মা-কে মৃত দেখিয়ে জাল দলিল বানিয়ে জমি বিক্রি করার অপরাধে ছেলে এবং ক্রেতা-সহ তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।

বৃহস্পতিবার ওই সাজা ঘোষণা করে দোষীদের তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন রামপুরহাট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক প্রিয়াঙ্কা প্রধান। সাজাপ্রাপ্তেরা হলেন নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, সুপ্রিয় লাহা এবং দেবপ্রিয় লাহা। প্রত্যেকেরই বাড়ি রামপুরহাটের হাসপাতাল পাড়া। তাঁরা অবশ্য এ দিনই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। মামলার সরকারি আইনজীবী পূর্ণিমা সরকার বলেন, ‘‘মা সৌভাগ্যবালা মণ্ডল বর্তমানে জীবিত থাকলেও নিতাইচন্দ্র মণ্ডল আজ থেকে তিন বছর আগে মৃত দেখিয়ে মায়ের নামে থাকা সম্পত্তির দু’শতক জমি বিক্রি করে দেন। সে জমি সুপ্রিয় লাহা ও দেবপ্রিয় লাহা নামে দুই ভাই কিনেছিলেন।’’

পরে ঘটনার কথা জানতে পেরে সৌভাগ্যবালাদেবী রামপুরহাট থানায় ছেলের বিরুদ্ধে ভুয়ো নথি দেওয়ার এবং লাহা ভাইদের বিরুদ্ধে জাল দলিল বানিয়ে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দিন সেই মামলারই রায় দিয়ে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৪২০ ধারায় (প্রতারণা) সাজা ঘোষণা করেছেন। ওই সাজা ছাড়াও দোষীদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমনা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

নব্বই বছর বয়সী সৌভাগ্যবালাদেবী বর্তমানে শয্যাশায়ী। থাকেন ছোট ছেলে নিমাইচন্দ্র মণ্ডলের কাছে। কোনও কথা বলতে পারেন না। নিমাই বলেন, ‘‘মা বেঁচে আছেন। অথচ দাদা সম্পত্তির লোভে মা-কে মৃত দেখিয়ে জমি হাতিয়ে নিয়ে বিক্রি করেছিল। আদালতে ন্যায় বিচার পেল আমার হতভাগ্য মা।’’ নিতাইয়ের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, দেবপ্রিয়র দাবি, ‘‘আমরা ক্রেতা হিসাবে জমি কিনেছিলাম। জমির দলিল জাল, তা কী করে বুঝব।’’

কর্মী সম্মেলন। আজ, শুক্রবার বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে শুরু হচ্ছে জেলা তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন। বীরভূমের পাশাপাশি বর্ধমানের আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট এলাকার বুথ কর্মীদেরও আসার কথা। সম্মেলনে থাকার কথা দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা বীরভূমের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিমের। তার প্রস্তুতি নিয়ে এ দিনই বোলপুরের সার্কিট হাউসে অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুলা চৌধুরী এবং ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী। মঙ্গলকোটের বিধায়ক এবং দলের ব্লক সভাপতির মধ্যে মনোমালিন্য দীর্ঘ দিনের। তার জেরে সাম্প্রতিক অতীতে উভয়ের অনুগামীদের বিস্তর ঝামেলাও হয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে নেতৃত্ব কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fake documents Three men convicted
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE