কখনও বাড়ি নেই। কখনও কর্মী। তারপরেও ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে রাজস্ব বৃদ্ধির হারে জেলার অন্য দু’টি মহকুমাকে পিছনে ফেলে দিল রামপুরহাট মহকুমা পরিবহণ দফতর। তবে মহকুমা হিসেবে জেলা সদর সিউড়ির আয় সবচেয়ে বেশি।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে জেলা সদর সিউড়ি থেকে আলাদা হয়ে রামপুরহাট মহকুমায় পৃথক পরিবহণ দফতর চালু হয়। তখন রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৩৭৬ টাকা। সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে সেই রাজস্ব আদায় বেড়ে হয়েছে ১০ কোটি ২ লক্ষ ১০ হাজার ১১৬ টাকা। বোলপুরে কর আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৯৮ টাকা। সিউড়িতে আদায় হয়েছে ২৮ কোটিরও বেশি টাকা। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে বোলপুরে পরিবহণ দফতরের রাজস্ব আদায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। সিউড়িতে বেড়েছে ১৫ শতাংশ। রামপুরহাট মহকুমায় সেই বৃদ্ধি ৩৪ শতাংশ। সাফল্য এখানেই।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা এবং লাইসেন্স নবীকরণ থেকে এই রাজস্ব আদায় হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় সড়কে চলা অতিরিক্ত জিনিস বোঝাই গাড়ির জরিমানা আদায়ের টাকাও জমা হয় এখানে। রামপুরহাট মহকুমা পরিবহণ দফতরের কর্তাদের দাবি, এই সাফল্যের পথ সহজ ছিল না। বছর চারেক আগেও মহকুমা এলাকায় পরিবহণ দফতরের কোনও স্থায়ী অফিস ছিল না। কাগজপত্র জেলা সদর অফিসে রাখতে যেতে হত। পরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের নীচের তলায় একটি অফিস খোলা হয়। সেখানেও কর্মীর অভাব।
গত আর্থিক বছরে প্রায়ই মহকুমা সহকারি পরিবহণ আধিকারিককে বোলপুর মহকুমার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। সম্প্রতি তাঁকে পাকাপাকি ভাবে বোলপুরেই নিয়োগ করা হয়েছে। দু’টি টেকনিক্যাল স্টাফের পদের একটি বরাবরই খালি। এখন অফিস সামলান একজন টেকনিক্যাল ও দু’জন নন টেকনিক্যাল কর্মী। রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘এরপরেও মহকুমা পরিবহণ দফতরের রাজস্ব আদায়ের হার বৃদ্ধিতে আমরা খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy