পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট বাতিল করার পরে সাধারণ মানুষের নগদ লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। সেই বিপত্তিই আরও বেড়েছে দশ টাকার জাল কয়েন সংক্রান্ত গুজবে। সম্প্রতি বাঁকুড়ার বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বাতিল নোটের ভাঙানিতে দশ টাকার কয়েনের প্যাকেট দেওয়ায় গ্রাহকদের একাংশ তা নিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, কয়েন নেওয়ার পরে সেগুলি খরচ করতে গিয়ে সমস্যায় পরেন কেউ কেউ। সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ওই এলাকায় কিছুটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।
বাতিল হওয়া হাজার টাকার নোট খুচরো করতে গিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ১০০টি দশ টাকার কয়েন পেয়েছিলেন বাঁকুড়ার গাড়ি চালক বাপি বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কয়েনগুলি খরচ করতে পারছিলেন না তিনি। বাপি জানান, সম্প্রতি শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে ওই কয়েন দিয়েই গাড়িতে তেল ভরেছেন তিনি। তবে তার জন্য তাঁকে কম গলা ফাটাতে হয়নি! তিনি জানান, দশ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করায় তিনি লিখিত মুচলেকা দাবি করেন। তাতেই পাম্প কর্মীরা গোঁ থেকে সরে আসেন। তিনি জানান, একই পদ্ধতিতে বেশ কিছু দোকানেও দশ টাকার কয়েন দিয়ে জিনিসপত্র কিনেছেন। তবে ছবিটা শহরের সর্বত্র একই রকমের নয়।
আদ্রা এবং রঘুনাথপুরের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, বেশ কিছু ব্যবসায়ী দশ টাকার কয়েন নিতে চাইছেন না। বৃহস্পতিবার আদ্রা-রঘুনাথপুর রাস্তার ধারে একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা দশ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করায় তেল ভরাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন কাশীপুরের বাসিন্দা সোমনাথ দুবে। সোমনাথবাবু নিজেও পেশায় দোকানদার। তিনি বলেন, ‘‘দোকানে ক্রেতারা অনেকেই দশ টাকার কয়েন দিচ্ছেন। আমিও নিচ্ছি। কিন্তু খরচ করতে না পরলে গুজব জেনেও কিছু করার থাকবে না।’’ ওই পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের দাবি, কিছু কয়েন জাল বলে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা নেননি। কিন্তু কী দেখে সন্দেহ হল সেই বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।
আদ্রার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশের দাবি, স্যোশাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত গুজব ছ়ড়ানোতেই এই বিপত্তি। এই পরিস্থিতিতে, কেউ দশ টাকার কয়েন লেনদেন করতে অস্বীকার করলে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy