গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় দুই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে রাইমণি মাঝি (১৬) আড়শা থানার গোবিন্দপুর গ্রামে মামাবাড়িতে থাকত। মামাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে। স্থানীয় কাঁটাডি স্কুলে নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার বাড়ি রাধানগর গ্রামে। মামাবাড়িতে সে দিদার কাছে থাকত। মামারাও কাজের সূত্রে বাড়িতে থাকতেন না। পরিবারের লোকেরা পুলিশকে জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে একটি ঘরের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ দেখে রাইমণির নাম ধরে ডাকাডাকি করা হয়। সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায় ঘরের কড়িকাঠে এই ছাত্রীর দেহ ঝুলছে। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অন্যদিকে এ দিন দুপুরে পুরুলিয়া সদর থানার ধোবঘাটা এলাকায় পুণম মাহালি (১৪) নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ছাত্রীটি স্থানীয় গিরিশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। এ দিন দুপুরে এই ছাত্রীর বাবা ও মা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা মাঠে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে অন্য সদস্যেরা অবশ্য ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পুণমের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা পুণমের ঘরে ঢুকে দেখেন গলায় ফাঁস দেওয়া তাঁর দেহ ঝুলছে। দুই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। দু’টি ঘটনাতেই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy