—প্রতীকী ছবি।
নির্মীয়মাণ পুজো পান্ডেলের বাঁশে চড়ে কিছু নাবালক নেশা করেছে, এই অভিযোগ তুলে এলাকার লোকজন নাবালকদের ন্যাড়া করে দিয়েছিল। সেই খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত হল সংবাদমাধ্যম। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরে। মারধর করে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই সাংবাদিক। তাঁদের বিরুদ্ধে আবার শ্লীলতাহানির পাল্টা অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আক্রান্ত সাংবাদিকদের বক্তব্য, স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে তাঁরা দেখেন ছ’য় নাবালকের চুল ছেঁটে দেওয়া হচ্ছে। সেই খবর করে ফিরে আসার সময় এক সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেয় স্থানীয় কিছু লোক। মারধরও করা হয়। এলাকার বাসিন্দা কৌশিক আইচ এবং সুশান্ত মুখোপাধ্যায় (বাবুনি) এলাকার বাসিন্দাদের উত্তেজিত হতে প্ররোচিত করে বলেও ওই সাংবাদিকদের অভিযোগ। তাঁদের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্য দিকে, এলাকার এক মহিলার অভিযোগ, সাংবাদিকরা মহিলাদের গায়ে হাত তুলেছেন। রামপুরহাট থানায় ওই মহিলাও অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, বেশ কিছু দিন ধরে এলাকার পুজোর মণ্ডপে কয়েক জন নাবালক প্যান্ডেলের বাঁশে চড়ে নেশা করছে। বারবার নিষেধ করলেও শোনেনি। বৃহস্পতিবার রাতে ফের নেশা করতে দেখা গেলে স্থানীয়েরা হাতেনাতে তাদের ধরে। খবর দেওয়া হয় অভিভাবকদের। এলাকার কিছু লোকের দাবি, ‘‘অভিভাবকদের সম্মতিতেই ওই ছেলেদের মাথার ন্যাড়া করা হয়েছে।’’ একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, গোটা ঘটনাটাকে কিছু সাংবাদিক এলাকাবাসীর নাম না করে একটি পুজো কমিটির নামে বদনাম করে খবর প্রচার করেছেন। সেই ক্ষোভেই ওই সাংবাদিকদের আটকে রাখা হয়। তবে কাউকে মারধরের অভিযোগ মানতে চাননি তাঁরা।
সাংবাদিকদের অবশ্য অভিযোগ, ‘‘আইন হাতে তুলে এলাকায় নাবালকদের ন্যাড়া করে দেওয়া হচ্ছিল। সেই ছবি তোলা হলে তা মুছে ফেলতে চাপ দেওয়া হয়। কথা মতো কাজ না করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।’’ গ্রামের লোকজন তেমনটা মানতে চাননি। ঘটনার কথা জেনে পুলিশ গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy