ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মহিলা নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হলেন সাসপেন্ড হওয়া এক ছাত্রী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিশ্বভারতীয় পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে ওই অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
বিশ্বভারতীর আচার্য এবং পরিদর্শককে শনিবার নিজের অভিযোগপত্র ইমেল মারফত পাঠিয়েছেন রূপা চক্রবর্তী। বিষয়টি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজ্যপাল জগদীশ ধনখড় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, এ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রূপা।
বিশ্বভারতীর হিন্দি শাস্ত্রীয় বিভাগের সঙ্গীত ভবনের ছাত্রী রুপা আপাতত সাসপেনশনের আওতায় রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে রূপার পাল্টা অভিযোগ, পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করার নামে দীর্ঘদিন দিন ধরে অত্যাচার চালাচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। নিজের পদের অপব্যবহার করে ছাত্রীর মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ করেছেন তিনি। উপাচার্য তাঁকে ‘মাওবাদী’ হিসাবে চিহ্নিত করে চরম অপমান করেছেন। সে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রচণ্ড চাপে ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি, ‘মাওবাদী’ হিসাবে দাগিয়ে দেওয়ায় তা তাঁর সামাজিক নিরাপত্তা এবং বৈবাহিক জীবনকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
নিজের সাসপেনশন নিয়েও উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রূপা। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দিনের পর দিন তা বাড়ানো হচ্ছে। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তা বাড়িয়ে ১৯ এপ্রিল করা হয়েছিল। এর পর ১৩ জুলাই ফের সে মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর সুরহা চেয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর আচার্য ও পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রূপা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy