Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩
Amartya Sen

অমর্ত্য ‘নোবেলজয়ী’ই নন, জমি-বিতর্কে অর্থনীতিবিদকে নিশানা উপাচার্য বিদ্যুতের

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমর্ত্যের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র ঠিকানায় চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, দখল করে থাকা ১৩ ডেসিম্যাল জমি অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিশানা করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিশানা করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০১:১২
Share: Save:

জমি-বিতর্কের মধ্যে আবারও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিশানা করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, অমর্ত্য আদতে নোবেলজয়ী নন। অর্থনীতিবিদই নিজেকে ‘নোবেলজয়ী’ বলে দাবি করে থাকেন। বিদ্যুতের বক্তব্য, হেরে যাওয়ার ভয়েই বিশ্বভারতীর জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না অমর্ত্য।

Advertisement

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমর্ত্যের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র ঠিকানায় চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, দখল করে থাকা ১৩ ডেসিম্যাল জমি অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই মুখ খোলেন অমর্ত্য। চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদের মন্তব্য, তিনিও চাইলে উপাচার্যের বাড়ি চলে যেতে পারতেন। সেখানে গিয়ে জানিয়ে আসতেন, ওই বাড়িতেই (উপাচার্য যে বাড়িতে থাকেন) তাঁর পিতামহ (ক্ষিতিমোহন সেন) থাকতেন! বিদ্যুৎকেও কটাক্ষ করেন অমর্ত্য।

তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার রাতে উপাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিম্যাল জমি দখল করে রয়েছেন অমর্ত্য। উনি আদালতে যাচ্ছেন না, কারণ গেলেই হেরে যাবেন।’’ অমর্ত্যকে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দেন বিদ্যুৎ। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘অমর্ত্য সেন আসলে নোবেল লরিয়েট নন। উনি নোবেল প্রাইজ় পাননি। উনি নিজেই দাবি করেন যে, উনি নোবেল প্রাইজ় পেয়েছেন।’’

উপাচার্যের ব্যাখ্যা, নোবেল প্রাইজ়ের যে ডিড (উইল) তৈরি হয়েছিল, সেখানে বলা আছে ৫ জনকে নোবেল প্রাইজ় দেওয়া হবে। যে ৫টি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়ার কথা আছে, সেগুলি হল— পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য আর বিশ্বশান্তি। বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘এর বাইরে আর কারও নোবেল পাওয়ার কথা নয়। পরবর্তী কালে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এগিয়ে আসে। তাদের দেওয়া অর্থে অর্থনীতিতে একটা পুরস্কার চালু হয়। যার নাম ব্যাঙ্ক অব সুই়ডেন প্রাইজ় ইন ইকোনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল। সেটাকে নোবেল পুরস্কার বলা যাবে না।’’

Advertisement

যদিও অমর্ত্যের নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে এমন দাবি আজকের নয়। বহু পুরনো। অনেকেই এই দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, নোবেল পুরস্কার কমিটির ওয়েবসাইটে নোবেলজয়ীদের তালিকাতেই অমর্ত্যের নাম জ্বলজ্বল করছে। শুধু তা-ই নয়, যে যে বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই তালিকাতেও ‘অর্থনীতি’ রয়েছে। ১৯৬৮ সালে সুই়ডেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক পুরস্কারটি চালু করেছে ঠিকই। কিন্তু নোবেল কমিটি যেখানে অমর্ত্যকে নোবেলজয়ী হিসাবেই চিহ্নিত করেছে, তাই সেখানে অন্য কোনও যুক্তি বা তর্কের অবকাশ নেই!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.