E-Paper

জমি-বিতর্কে অমর্ত্যকে ফের তোপ

সম্প্রতি অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী বলেছিল, তাঁর বিরুদ্ধে দখলদার উচ্ছেদ আইন কেন প্রয়োগ করা হবে না, তার জবাব ২৪ মার্চ বা তার আগে জানাতে হবে।

বাসুদেব ঘোষ 

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৮
ফের অমর্ত্য সেনকে নিশানা উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর।

ফের অমর্ত্য সেনকে নিশানা উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর। — ফাইল চিত্র।

জমি-বিতর্কে বিশ্বভারতীতে হাজিরার জন্য তিন মাস সময় চেয়ে শুক্রবার ফের চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী। এ দিনই তাদের ই-মেল করে অমর্ত্য সেনকে ফের ‘জমি দখলকারী’ হিসাবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তোপ দেগেছেন বলে দাবি করেছে বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ।

সম্প্রতি অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী বলেছিল, তাঁর বিরুদ্ধে দখলদার উচ্ছেদ আইন কেন প্রয়োগ করা হবে না, তার জবাব ২৪ মার্চ বা তার আগে জানাতে হবে। পাশাপাশি ২৯ মার্চ বিকেলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে সশরীর অথবা তাঁর কোন প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব তথা এস্টেট অফিসের কাছে শুনানির জন্য হাজির হতে হবে বলা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে গোরাচাঁদ পাল্টা চিঠি দিয়ে চার মাসের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বভারতী মাত্র ১০ দিন মঞ্জুর করে। গোরাচাঁদ বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, স্যর এই মুহূর্তে দেশের বাইরে রয়েছেন। তাই ১০ দিনের মধ্যে আমাদের পক্ষে সব নথি সহ বিশ্বভারতীর কাছে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। চিঠি দিয়ে আমাদের অন্তত তিন মাস সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।” এ নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

অন্য দিকে, ভিবিইউএফএ দাবি করেছে, কিছু দিন ধরে নানা বিষয়ে তারা উপাচার্যকে ই-মেল করলেও উপাচার্য উত্তর দেননি। কিন্তু, শুক্রবার উপাচার্যের মেল আইডি থেকে ভিবিইউএফএ এবং শিক্ষক ও আধিকারিকদের কাছে একাধিক ই-মেল আসে। সেখানে কোথাও লেখা হয়েছে, ‘এই সব বদমায়েশ প্রকাশ্যে আসুক, মিথ্যা অহঙ্কারে নিজেদের যেন আড়াল করে না রাখে। আমি এই বদমায়েশদের অনুরোধ করছি, ইঁদুরের মতো আচরণ না-করার জন্য...। সুতরাং, তাদের উপেক্ষা করা ভাল। এই বদমায়েশদের শীঘ্রই তাড়িয়ে দেওয়া হবে’। ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “নিন্দার ভাষা নেই। কোনও রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না-করে উপাচার্য নিজের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেল থেকে অধ্যাপকদের কু-কথা বললেন।’’

সুদীপ্ত জানান, ওই ই-মেলে উপাচার্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়েছে বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব হলেও অমর্ত্য ‘জমি দখলকারী’কে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিশ্বভারতীকে জমি ফেরত দিতে বাধ্য করা হবে। এই প্রসঙ্গে অমর্ত্যের আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া, “পিতা আশুতোষ সেনের সময় থেকে অমর্ত্য সেন এখানে মানুষ হয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, তা অবমাননাকর ও অন্যায়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Visva Bharati University Amartya Sen Bidyut Chakraborty

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy