Advertisement
E-Paper

কথায়, গানে জেলায় স্মরণ ভাষাশহিদদের

মাতৃভাষা দিবসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হল হরেক অনুষ্ঠান।বৃহস্পতিবার নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সিউড়ি শাখার উদ্যোগে দিনটি পালন করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩১
বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে।নিজস্ব চিত্র

বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে।নিজস্ব চিত্র

মাতৃভাষা দিবসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হল হরেক অনুষ্ঠান।বৃহস্পতিবার নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সিউড়ি শাখার উদ্যোগে দিনটি পালন করা হয়। অমর একুশের ভাষাশহিদদের কথা, গান, পাঠে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বড়বাগানের প্রান্তিক সঙ্ঘের সভাঘরে অনুষ্ঠান হয়। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর সিধো কানহু মঞ্চে ভাষাদিবস পালন করে। হয় বাউল গান।

বিশ্বভারতীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল বিশ্বভারতী ইন্দিরা গাঁধী কেন্দ্রের বিদেশি ছাত্র সহায়তা প্রকোষ্ঠ এবং বাংলাদেশ ভবনের যৌথ উদ্যোগে। এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউসের সামনে থেকে একটি পদযাত্রা শুরু হয়ে বাংলাদেশ ভবন পর্যন্ত আসে। এর পর সকাল ৯টা নাগাদ বাংলাদেশ ভবনে তৈরি হওয়া শহিদবেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

শহিদবেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক শাহানাজ আখতার রানু, বাংলাদেশ ভবনের সমন্বয়ক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বিদেশি ছাত্র সহায়তা প্রকোষ্ঠের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্দ্রাণী দাশ সহ বিশ্বভারতীর অন্যান্য আধিকারিক, বাংলদেশের পড়ুয়া, এ দেশের পড়ুয়া থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতনের সাধারণ মানুষ। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক শাহানাজ আখতার রানু বলেন, "বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একইসঙ্গে অন্য ভাষাও শিখতে হবে। প্রত্যেক ভাষারই একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। তাই যাঁর মাতৃভাষা যেটা, সেই ভাষাকে ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।"

এ দিন বিকেলে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের একটি অনুষ্ঠান হয়। বিশ্বভারতীর আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা তাঁদের মাতৃভাষায় গান করেন। বোলপুর মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগেও পালিত হয় মাতৃভাষা দিবস। এ দিন বোলপুর মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। অধ্যাপক রামানুজ মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। ‘আমার কুটির’ কর্মীদের উদ্যোগে ভাষা দিবস পালন করা হয়। পাশাপাশি একটি আলোচনাসভায় শামিল হন সীতারাম বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক প্রশান্ত ঘোষ, আমার কুটিরের চেয়ারম্যান অমিয় ঘোষ। ইলামবাজারে

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও দিনটি পালন করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংস্থার তরফে আব্দুল খালেক জানান, তাঁরা ১৩ বছর ধরে মাতৃভাষা দিবস পালন করছেন।

সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় নানুরের চণ্ডীদাস স্মৃতি সাধারণ পাঠাগারে। ছিলেন সাহিত্যকর্মী শশাঙ্কশেখর মেটে, রহিম রাজা, গণপতি ঘোষ। গ্রন্থাগার পরিচালন সমিতির সভাপতি মানিকচাঁদ রায় জানান, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আজকের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই অনুষ্ঠান। মাতৃভাষা দিবস পালিত হল নানুরের খুজুটিপাড়া চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার। উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ‍্যক্ষ আতাউর রহমান, গ্রন্থাগারিক মহম্মদ আলমগির খান, শিক্ষক সুভাষ সিংহ, মৌসুমী রায়চৌধুরী। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ রহমত জানান, প্রতি বছরই দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। ভাষা দিবস পালিত হয় ময়ূরেশ্বরের উলকুণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকুমার গড়াই জানান, ছাত্রছাত্রীদের ভাষা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানাতেই এই উদ্যোগ।

রাজগ্রামের একটি স্কুলে একইসঙ্গে পালিত হয় মাতৃভাষা দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দিনটি নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন। ছিলেন কুদ্দুস আলি, ব্রজগোপাল ঘোষ, সামাইন খান, আলি আসগর। একটি সংস্থার উদ্যোগে মুরারাই ব্লক মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। নলহাটি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। এ কথা জানান প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায়।

সাঁইথিয়ার ইউনিয়ন বোর্ড মোড়ে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একটি সংস্থা। সংস্থার পক্ষে লোকনাথ দত্ত ও ইন্দ্রনীল চৌধুরী জানান, এই দিনটির তাৎপর্য সকলের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁরা।

International Mother Language Day Language Martyr
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy