মাঠের এক প্রান্তে লাল দেওয়াল। সেই দেওয়ালে সাদা ছক কেটে কেটে উঁচু বাড়ির আদল তৈরি করা হয়েছে। দেওয়ালের উপরের দিকে হলুদ কালো রঙে লেখা রামপুরহাট। রয়েছে অনুসন্ধান অফিস। ঠিক যেমনটা রয়েছে, রামপুরহাট স্টেশনে! আলোকসজ্জাও ঠিক তেমন, যেমনটা স্টেশনে থাকে।
কেন এমন ভাবনা?
রামপুরহাট ইউথ ইউনিট ক্লাবের পক্ষে অচিন্ত্য চক্রবর্তী জানালেন, এলাকাটা রেলের। পুজোর সঙ্গে রেল কর্মচারীরা অঙ্গাঙ্গি ভাবে যুক্ত। তাঁর কথায়, ‘‘তা ছাড়া এ বছর থেকেই রামপুরহাটে ইলেকট্রিক রেললাইন চালু হয়েছে। স্টেশনের পরিকাঠামোও গত কয়েক দিনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেই স্টেশনকেই থিম করার প্রস্তাব দিতেই সকলে সহমত হয়েছেন।’’ ইতিমধ্যেই এ বারের থিম ফ্লেক্সের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, বুধবার সকালে তিথি অনুযায়ী মূল মণ্ডপের ভিতরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হলেও সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে মণ্ডপের উদ্বোধন হবে।
মণ্ডপে ঢুকতেই দেখা গেল, ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। প্লাইউড দিয়ে উঁচু করে তা তৈরি করা হয়েছে। প্লাটফর্মের নীচে কাঠ দিয়ে তৈরি রেললাইন। রেললাইনের ধারে পাথর বিছানো। ১ নম্বর প্লাটফর্মে কাঠ দিয়ে তৈরি একটি ইঞ্জিন দাঁড়িয়ে। কাছাকাছি রয়েছে বসার জায়গাও। আছে শৌচালয়। ২ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে টিনের ছাউনি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে যাত্রীসেড। সেখানে আলো ও পাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ১ নম্বর প্লাটফর্ম ধরে ৪ নম্বর প্লাটফর্মে পৌঁছলে দেখা যাবে প্লাটফর্মের গায়ে জগদ্ধাত্রী মূর্তি।
মণ্ডপের বাইরে মাঠ জুড়ে রয়েছে নানা আলোকসজ্জা। সেখানে নানা রকম পশুপাখি, আইফেল টাওয়ার, ঋতু-বৈচিত্র্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মাঠের বাইরে চাউমিন, ফুচকা, পাপড়ি চাট, গুগনি চাট এর সার সার দোকান। তেলেভাজা, গুড়ঝুড়ি, জিলিপি-র দোকান তো রয়েছেই।
মালগাড়িতে ময়াল। মূহূর্তে রটে যায় যে মালগাড়ির একটি কামরার মাথায় আস্ত একটি ময়াল শুয়ে রয়েছে। বুধবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের আদ্রা-চান্ডিল শাখার টামনা স্টেশন। মালগাড়িটি ছত্তীশগঢ় থেকে আসছিল। ময়ালটি উদ্ধার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy