Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ

পুলিশ কর্মী স্ত্রীর আবাসনে মিলেছিল কনস্টেবল স্বামীর গুলিবিদ্ধ দেহ। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার সেই পুলিশ কর্মী স্ত্রী-সহ তাঁর বাড়ির ছ’জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের বাড়ির লোকজন। বুধবার সারেঙ্গা থানার আবাসনের ভিতর মারা যান ওন্দার বাসিন্দা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (৩৫) নামের ওই কনস্টেবল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সারেঙ্গা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৬
Share: Save:

পুলিশ কর্মী স্ত্রীর আবাসনে মিলেছিল কনস্টেবল স্বামীর গুলিবিদ্ধ দেহ। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার সেই পুলিশ কর্মী স্ত্রী-সহ তাঁর বাড়ির ছ’জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের বাড়ির লোকজন।

বুধবার সারেঙ্গা থানার আবাসনের ভিতর মারা যান ওন্দার বাসিন্দা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (৩৫) নামের ওই কনস্টেবল। তিনি পুরুলিয়া পুলিশ লাইনের কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী অর্পিতা এবং তাঁর বাবা রঞ্জিত গোস্বামী, মা মঞ্জু গোস্বামী, দাদা বিপ্লব গোস্বামী, কাকা বিদ্যুৎ গোস্বামী ও জামাইবাবু প্রসেনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে শনিবার সারেঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “অভিযোগের তদন্ত হবে।”

মৃতের কাকা হীরেন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বছর দুয়েক আগে তাঁর বিপ্লব ও অর্পিতার বিয়ে হয়। কিন্তু দাম্পত্যজনিত সমস্যায় ওঁদের মধ্যে অশান্তি হত নিত্যদিন। এরপর থেকেই বিপ্লবকে নানা ভাবে ভয় দেখাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর উপরে মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। হীরেনবাবুর অভিযোগ, “ওঁদের সেই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আমার ভাইপো আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছে। ডায়েরিতে লেখা সুইসাইড নোট থেকে আমরা এ সব জানতে পেরেছি।”

তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে দাবি করেছেন অর্পিতার দাদা বিপ্লব গোস্বামী। তিনি বলেন, “বিয়ের পর থেকে নানা কারণে ভগ্নিপতি আমার বোনের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেছিল। মাঝে মাঝে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দিত ভগ্নিপতি। বাধ্য হয়ে গত নভেম্বর মাসে জেলা পুলিশের উপর মহলে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল অর্পিতা। ওদের সম্পর্ক যাতে স্বাভাবিক হয় সে জন্য আমরা চেষ্টার কসুর করিনি।” কিন্তু তারই মধ্যে এমন অঘটন ঘটে যাওয়ায় তাঁরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, সদ্য স্বামীকে হারিয়ে অর্পিতা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁর দাবি, “আমার বোন-সহ আমাদের গোটা পরিবারকে হেনস্থা করার জন্যই চক্রান্ত করে এমন মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগ করেছেন ওঁদের পরিবার।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE