দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
সরকারি বোর্ড আঁটা একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে যাওয়ার প্রথমে একটি মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। মারা যান সেই মোটরবাইকের আরোহী। জখম হন বাইকের চালক। এরপরেই গাড়িটি বেসামাল হয়ে ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়িতে। সেই গাড়ির পিছনে ছিল অন্য একটি মোটরবাইক। সেই মোটরবাইকের চালক রাস্তায় ছিটকে পড়ে জখম হন। আবার ওই মোটরবাইকের ধাক্কায় চোট পান রাস্তার পাশে থাকা এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমনই দুর্ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে, পাড়া থানার ঝাপড়া মোড়ের অদূরে দশেরবাঁধ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম রাজীবরঞ্জন কুমার (৩২)। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে। তিনি সাঁতুড়ি থানার মধুকুণ্ডার একটি সিমেন্ট কারখানার আধিকারিক। আহত হন তাঁর সঙ্গে মোটরবাইকে থাকা ওই কারখানার কর্মী প্রিয়তোষ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি হুড়া থানার লধুড়কায়। অন্য মোটরবাইকের চালক বিনোদ বাউরির বাড়ি পাড়া থানার আনাড়ায়।
প্রথমে আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছিল রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। পরে তাঁদের দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ায় স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি বোর্ড আঁটা গাড়িটি আটক করে চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের বোর্ড সাঁটানো একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দু’টি গাড়িতে ধাক্কা মারে। পুরুলিয়া দিক থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ওই গাড়িটি যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে মুখোমুখি ধাক্কা মারে প্রিয়তোষদের মোটরবাইকে। রাজীবরঞ্জনকে নিয়ে মোটরবাইকে কারখানা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন প্রিয়তোষ। তিনি বাইক চালাচ্ছিলেন। পিছনে ছিলেন রাজীবরঞ্জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরেই সেই গাড়িটি ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়িকে। সেই গাড়টির পিছনেই মোটরবাইকে পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন বিনোদ। সংঘর্ষের জেরে ওই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারালে বিনোদের বাইকে ধাক্কা মারে। রাস্তার এক প্রান্তে ছিটকে পড়েন বিনোদ। তাঁর মোটরবাইকের ধাক্কায় জখম হন রাস্তার অন্য প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তি। তবে তাঁর জখম গুরুতর নয়।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ওই গাড়িটিতে কয়েকজন সরকারি আধিকারিক ছিলেন। তবে পুলিশের দাবি, ওই গাড়িটি এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের অফিসে গাড়িটি ভাড়ায় খাটান। মঙ্গলবার গাড়ির চালক একাই গাড়ি নিয়ে কাজে পুরুলিয়া এসেছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy