Advertisement
E-Paper

আধুনিক বাজার খুলছে রাইপুরে

ক্লাবের মাঠে খোলা আকাশের নীচে চলছে সব্জি বাজার। গ্রীষ্মে-বর্ষায় কষ্ট করে বাজার করা নিয়ে ক্ষোভ কম নেই। তার উপরে বাজার এখন রাস্তার পাশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে গাড়ি চালকদের সমস্যা। রাইপুর সবুজ বাজারের এটাই ছবি। তবে এই ছবি এ বার বদলাতে চলেছে। সব্জি বাজারের সঙ্গে মাছ, মাংস ব্যবসায়ীদেরও এ বার এক ছাতার তলায় বসে ব্যবসা করার উপযোগী আধুনিক মানের একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে রাইপুরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:২৩
চারশো বর্গ মিটার নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাজার।—নিজস্ব চিত্র।

চারশো বর্গ মিটার নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাজার।—নিজস্ব চিত্র।

ক্লাবের মাঠে খোলা আকাশের নীচে চলছে সব্জি বাজার। গ্রীষ্মে-বর্ষায় কষ্ট করে বাজার করা নিয়ে ক্ষোভ কম নেই। তার উপরে বাজার এখন রাস্তার পাশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে গাড়ি চালকদের সমস্যা। রাইপুর সবুজ বাজারের এটাই ছবি।

তবে এই ছবি এ বার বদলাতে চলেছে। সব্জি বাজারের সঙ্গে মাছ, মাংস ব্যবসায়ীদেরও এ বার এক ছাতার তলায় বসে ব্যবসা করার উপযোগী আধুনিক মানের একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে রাইপুরে। শীঘ্রই ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হবে। রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস জানিয়েছেন, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে ওই মার্কেট কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়েছে। টিনের ছাউনির ৭০টি স্টল থাকছে। সেখানে খুচরো সব্জি ব্যবসায়ীদের বসার পৃথক স্টল রয়েছে। এরই পাশাপাশি রয়েছে মাছ, মাংস থেকে ফুল, ফলের পৃথক পৃথক স্টল। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য শৌচাগার, জলের জোগানে একটি সাব মার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল, একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হোক। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০০৭ সালে তদানীন্তন সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি এই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু করেছিল। পরে সেই কাজ অবশ্য বিশেষ এগোয়নি। পরবর্তী সময়ে রাইপুরের বিডিও-র তৎপরতায় মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ গতি পায়। বিডিও বলেন, “এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অসুবিধা দূর করার জন্যই এই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। ছাউনির ভিতরে ও দাওয়ায় বসেও অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাঁদের জিনিসপত্র কেনাবেচা করতে পারবেন। একই ছাদের তলায় ক্রেতারাও তাঁদের পছন্দমতো জিনিসপত্র পাবেন।”

এই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে সব্জি ব্যবসায়ীরা। সব্জি বিক্রেতা তারাপদ মণ্ডল, শম্ভু মণ্ডল, রিঙ্কু লাহা বলেন, “রাস্তার ধারে বসে প্রতিদিন ব্যবসা করতে হয়। চড়া রোদ বা বর্ষায় খুব অসুবিধা হয়। মার্কেট কমপ্লেক্সের মধ্যে ছাউনির নীচে বসে ব্যবসা করতে পেলে আমাদের সুবিধাই হবে।” তবে সব ব্যবসায়ীই মার্কেট কমপ্লেক্সে বসার সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়েছেন সবুজবাজার সব্জি বাজার সমিতির সম্পাদক স্বপন রজক। তাঁর দাবি, “বর্তমানে সবুজ সঙ্ঘের মাঠে এবং পূর্ত দফতরের জায়গায় ৩৫০ জনের বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন। কিন্তু মার্কেট কমপ্লেক্সের ভিতরে এত ব্যবসায়ী বসার সুযোগ পাবেন না। প্রশাসনের উচিত সবার বসার জায়গা করে দেওয়া।” বিডিও জানিয়েছেন, যাঁরা একেবারে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করেন স্টল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মার্কেট কমপ্লেক্সের ভিতরে অনেক জায়গা ফাঁকা থাকছে। সেখানেও বহু সব্জি ব্যবসায়ী বসতে পারবেন।

raipur market complex
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy