Advertisement
০৫ মে ২০২৪

ইলামবাজারে খুন টিএমসিপি কর্মী

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সক্রিয় কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত বারোটা নাগাদ বীরভূমের ইলামবাজার থানার শালডাঙা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম জামিরুল মণ্ডল (১৯)। স্থানীয় হেতমপুর কলেজের ওই ছাত্রের বাড়ি শালগ্রামেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইলামবাজার শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৫
Share: Save:

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সক্রিয় কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত বারোটা নাগাদ বীরভূমের ইলামবাজার থানার শালডাঙা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম জামিরুল মণ্ডল (১৯)। স্থানীয় হেতমপুর কলেজের ওই ছাত্রের বাড়ি শালগ্রামেই। বাড়ি থেকে ১৫০ মিটার দূরে পরিবারের লোকেরাই তাঁর রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, লোহার রড জাতীয় ভারী কিছু দিয়ে ওই ছাত্রের মাথার পিছনে আঘাত করা হয়েছে। মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে দড়ি জাতীয় কিছু গলায় দিয়ে শ্বাসরোধও করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিচিত কেউ-ই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। শনিবার বর্ধমান মেডিক্যালে দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত ছাত্র সক্রিয় টিএমসিপি কর্মী হওয়ার পাশাপাশি এলাকায় তৃণমূলের যুব সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সক্রিয় কর্মী নিহতের দিদি মমতাজ বেগম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ খাওয়াদাওয়া সেরে তাঁর ভাই পড়তে বসেছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ জামিরুল দরজা খুলে বাইরে বেরিয়েছিল। তাঁর দাবি, “মোবাইলে ফোন করে অথবা বাইরে থেকে হাঁক দিয়ে কেউ বা কারা ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়।” অনেক রাত পর্যন্ত জামিরুল বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাঁর খোঁজে বাইরে বেরলো বাড়ির কাছেই ওই ছাত্রকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। নিহতের দিদির দাবি, “আমাদের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। তারপরেও কারা ভাইকে খুন করল বুঝতে পারছি না।” শনিবার নিহতের পরিবার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এ দিকে, ওই টিএমসিপি ছাত্রের খুনের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, “জামিরুল এলাকায় আমাদের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন ঠিকই। যরাজনৈতিক কোনও কারণে এই খুন নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে এখনই কিছু বলছি না। সব দিক খতিয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত। তাদের অবিলম্বে ধরুক।” অন্য দিকে, বীরভূমের এসপি অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে গণ্ডগোল বা পরিবারিক কোনও বিবাদের জেরেই এই খুন। আমরা নিহতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”

পুড়ল কার্যায়। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শনিবার ভোরে ব্যারাকপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলি হায়দার রোডে হঠাৎই বস্তির মধ্যে দরমার বেড়া দিয়ে তৈরি এক কামরার তৃণমূলের এক দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরে যায়। আগুন নেভানোর সময় জখম হন রমেশ দলুই নামে এক তৃণমূল কর্মী। দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানোর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmcp worker murdered ilambazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE