Advertisement
০২ জুন ২০২৪

এবিভিপি নেতাকে কলেজে আটকে রাখার অভিযোগ

বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) কলেজ ইউনিটের সভাপতিকে ‘বহিরাগত তকমা’ দিয়ে কলেজেরই লাইব্রেরিতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে গণেশ মাজি নামের ওই এবিভিপি নেতাকে উদ্ধার করে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নিতুড়িয়ার পঞ্চকোট কলেজে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিতুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৪:০২
Share: Save:

বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) কলেজ ইউনিটের সভাপতিকে ‘বহিরাগত তকমা’ দিয়ে কলেজেরই লাইব্রেরিতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে গণেশ মাজি নামের ওই এবিভিপি নেতাকে উদ্ধার করে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নিতুড়িয়ার পঞ্চকোট কলেজে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চকোট কলেজের ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দখলে রয়েছে। কিন্তু, সম্প্রতি কলেজে সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবিভিপি। তার জেরে আগেও কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কলেজে তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতা গণেশকে শারীরিক নিগ্রহ করেছে টিএমসিপি-র ছেলেরা, এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার কলেজের সামনে সড়বড়ি মোড়ে পথসভা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এ দিনও ঘটনাটি ঘটেছে গণেশকে কেন্দ্র করে। তবে, বিজেপি-র ছাত্র সংগঠনের ওই নেতার দাবি, এ দিন তিনি কলেজের নোটিস বোর্ডে পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু বিষয় দেখতে কলেজের মধ্যে ঢুকেছিলেন। গণেশের অভিযোগ, “সেই সময়ে টিএমসিপি-র কিছু ছাত্র, যাদের মধ্যে কয়েক জন বহিরাগত, তারা এসে বলতে শুরু করে, কলেজে আমি আমাদের ছাত্র সংগঠনের কাজ করতে এসেছি। এর পরে আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে কলেজের লাইব্রেরিতে আটকে রাখে।”

কলেজ সূত্রের খবর, নিতুড়িয়া থানায় টিএমসিপি-র তরফেই খবর দেওয়া হয়, বহিরাগত এক ছাত্র এসে কলেজে ঝামেলা পাকাচ্ছে। পুলিশ এসে গণেশ মাজিকে থানায় নিয়ে যায়। অন্য দিকে, খবর পেয়ে থানায় উপস্থিত হন বিজেপি-র কিছু নেতা-কর্মী। থানার সামনে মৃদু বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পুলিশ অবশ্য গণেশকে কিছু পরেই ছেড়ে দেয়। এলাকার বিজেপি নেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর দাবি, গণেশ এখনও এবিভিপি-র ওই কলেজ ইউনিটের সভাপতি। পঞ্চকোট কলেজে তৃণমূলের বহিরাগত ছেলেরাই ঢুকে কার্যত নৈরাজ্য তৈরি করেছে। কোনও ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলেই তাদের হাতে নিগ্রহ হতে হচ্ছে এবিভিপি-র সদস্যদের। তাঁর দাবি, “তৃণমূলের কোন কোন বহিরাগত কলেজে ঢুকছে, তার তালিকা আমরা এ দিন পুলিশের কাছে জমা দিয়েছি।”

টিএমসিপি-র নেতা সুকুমার রায় অবশ্য বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বিজেপি। পঞ্চকোট কলেজের ছাত্র সংসদ পুরোপুরি পরিচালনা করে কলেজের পড়ুয়ারাই। আমাদের কেউই কলেজে ঢোকে না।”

তাঁর আরও দাবি, গণেশ মাজি নামের ওই ছাত্রটির কলেজ থেকে দেওয়া পরিচয়পত্রেই উল্লেখ করা রয়েছে, জুন মাসে সে প্রাক্তন হয়ে গিয়েছে। বাইরে থেকে কেউ ঢুকে কলেজে অস্থিরতা তৈরি করবে, স্বাভাবিকভাবেই এটা কলেজের টিএমসিপি-র সদস্যেরা মানতে চাননি। পঞ্চাকোট কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গণেশ মাজি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সে জন্য বর্তমানে সে কলেজের নিয়মিত ছাত্র নয়। তবে, এ দিনের ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আমরা বরাবরই চেষ্টা করছি, যাতে বহিরাগত ছাত্রেরা এসে কলেজের পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে।”

মশারি বিলি। হোমে মশারি বিতরণ করল বাঁকুড়া জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের কয়েকটি হোমে মশারি বিলি করা হয়। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (১) স্বপন কুমার মহান্তি, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সম্পাদিকা অরুন্ধতী ভট্টাচার্য-সহ অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nituria panchakot college bjp
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE