Advertisement
E-Paper

গোষ্ঠী-কাজিয়ায় বন্ধ মিড-ডে মিল

স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের কাজিয়ার জেরে দেড় মাস ধরে মিড-ডে মিল বন্ধ ছিল ঝালদা ১ ব্লকের জামলহর প্রাথমিক স্কুলে। দু’টি গোষ্ঠী রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। প্রশাসন মঙ্গলবার তালা খুলে রান্না চালু করলেও বুধবার ফের রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে একটি গোষ্ঠী। ফলে আজ বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে রান্না করা হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০১
ঝালদার জামলহর স্কুল। —নিজস্ব চিত্র

ঝালদার জামলহর স্কুল। —নিজস্ব চিত্র

স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের কাজিয়ার জেরে দেড় মাস ধরে মিড-ডে মিল বন্ধ ছিল ঝালদা ১ ব্লকের জামলহর প্রাথমিক স্কুলে। দু’টি গোষ্ঠী রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। প্রশাসন মঙ্গলবার তালা খুলে রান্না চালু করলেও বুধবার ফের রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে একটি গোষ্ঠী। ফলে আজ বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে রান্না করা হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝালদা ১ ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা জামলহর গ্রামের এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৬। সমস্যার সূত্রপাত গত অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। গোড়া থেকে এই স্কুলে স্থানীয় একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা মিড-ডে মিল রান্নার কাজ করে আসছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাধব মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার আরও কয়েকটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা ইদানীং দাবি করেন তাঁদেরও রান্না করতে দিতে হবে। কারা রান্না করবেন এই নিয়ে গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তারপর থেকেই রান্না বন্ধ।” বর্তমানে যে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রান্নার দায়িত্বে, তাদেরই এক সদস্যের কথায়, “আমরা সে দিন ছেলেমেয়েদের খাবার জন্য রান্না বসিয়েছিলাম। আচমকা অন্য গোষ্ঠীর কয়েকজন এসে উনুনে বসানো ভাত, কাটা তরকারি সবই বাইরে ফেলে দেয়। তারাই রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।” অন্য গোষ্ঠী ফের আরও একটি তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রধান শিক্ষক জানান, সে দিন থেকেই দুই গোষ্ঠীই রান্নাঘর তালা বন্ধ করে দেয়। তিনি সমস্ত ঘটনাই লিখিত ভাবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের সহকারী পরিদর্শক বিকাশচন্দ্র মজুমদার মঙ্গলবার ওই স্কুলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে পুরনো গোষ্ঠীকে দিয়েই রান্না করান। বুধবারও রান্না হয়। প্রধান শিক্ষক বলেন, “এ দিন রান্নার পরেই অন্য গোষ্ঠীর সদস্যেরা এসে ফের রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে যায়।”

এ দিকে খাবার বন্ধ হওয়ায় জঙ্গলমহলের এই প্রত্যন্ত এলাকার শিশু পড়ুয়ারা বেজায় সমস্যায় পড়েছে। চতুর্থ শ্রেণির সোমনাথ মাহাতো, নমিতা মাহাতো, সৌরভ মাহাতো, তৃতীয় শ্রেণির প্রথম মাহাতো, পূজা কুইরি বলে, “অনেকদিন ধরে আমাদের স্কুলে দুপুরের রান্না হচ্ছে না। বড়দের গোলমালে আমাদের খাবার দেওয়া কেন বন্ধ করা হল?”

mid day meal group conflict jhalda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy