হাসপাতালে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিত্সক ও নার্সদের মারধরের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবশ্য শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ছ’জন সিভিক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ টহলদারিও। যদিও জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেনি। ওই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা এবং সম্পত্তি ভাঙচুরের ধারা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এসডিপিও (বোলপুর) সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “ঘটনায় নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ হয়নি। ওই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত তা দেখা হচ্ছে। ওই বিশেষ ধারাটি পরেও যুক্ত করা যায়। শীঘ্রই দোষীদের ধরা হবে।” এ দিনই হাসপাতালের সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য মহকুমাশাসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে এ নিয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার চিকিত্সাধীন এক শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে ওই হাসপাতালে। চিকিত্সায় গাফিলতির জেরে ওই শিশু মারা গিয়েছে, এই অভিযোগ করে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ, সে সময়ই কর্তব্যরত শিশু বিশেষজ্ঞ তন্ময় মণ্ডল এবং চার নার্সকে মারধর করা হয়। ঘটনার পরে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চিকিত্সক ও নার্সেরা হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করেছিলেন। পরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাসে মেলার পরেই সুপার ঘেরাও মুক্ত হন। ওই ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ তন্ময়বাবু অবশ্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না মেলা অবধি হাসপাতালের কাজে যোগ দেবেন না বলে ঘটনার দিনই সুপারকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, “আপাতত সাত দিন ছুটিতে আছি। পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব।”
এমনিতে, গত কয়েক দিন ধরে ওই হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে ঘিরে পরপর কয়েকটি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবার উন্নয়নের দাবিতে তাঁরা সরবও হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy