ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা গোপে দত্ত-সহ অন্যদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার পাত্রসায়র থানায় স্মারকলিপি দিল পাত্রসায়র ব্লক গ্রাম ষোলোআনা কমিটি। ওই কমিটির এক প্রতিনিধিদল এ দিন দুপুরে থানার ওসি অমিত সিংহ মহাপাত্রের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়র কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি নেতা জিয়ারুল ইসলামের দাদা পেশায় ব্যবসায়ী শেখ মনিরুল ইসলামকে পাত্রসায়র থানার পাশে একটি দোকানের সামনে প্রথমে মারধর করা হয়। তাঁর মোটরবাইক ভাঙচুরের পরে তাঁকে পাশের তৃণমূল কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে ফের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারই পাল্টা হিসাবে ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো এবং স্থানীয় টিএমসিপি নেতা গোপে দত্তকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে জিয়ারুল ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিস্থিতি সামলাতে কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় দু’জনকে ধরা হলেও মনিরুলকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার না করায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
জিয়ারুল রাজনীতি করলেও তাঁর দাদা কোনওভাবেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন গ্রামষোলো আনার তরফে হাজার খানেক মানুষ থানার সামনে জড়ো হন। পরে তাঁদের মধ্য থেকে পাঁচ জনের এক প্রতিনিধিদল থানায় যান। ওসির কাছে অভিযুক্তদের ধরার দাবি জানান। গ্রাম ষোলো আনার তরফে শেখ মনিরুল বলেন, “এলাকার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামকে যে ভাবে মারধর করা হয়েছে তা চরম নিন্দনীয়। ওইদিন গোপে দত্তর নেতৃত্বে যাঁরা এই কাজ করেছে তাঁদের সকলকে অবিলম্বে আমরা গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনে নামা হবে।” পাত্রসায়র থানার ওসি অমিত সিংহ মহাপাত্র অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও পরাগ ঘোষ ফোন ধরেননি। তবে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক দাবি করেন, “অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।”
আদ্রায় ফুটবল প্রতিযোগিতা: স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী হল রঘুনাথপুর থানার ভাবকিবনা ইউনাইটেড আদিবাসী ক্লাব। ফাইনালে তারা ১ গোলে আদ্রার জীবনপুর জুনিয়র আদিবাসী স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে আদ্রার বিবেকানন্দ ক্রীড়াঙ্গনে (ওয়্যারলেস ময়দানে) এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল আদ্রার মর্ডান ক্লাব। একদিনের টুর্নামেন্টে যোগ দিয়েছিল এলাকার ১৬টি দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy