Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দুই বধূকে খুনের অভিযোগ

দুই বধূকে খুন করার অভিযোগে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শনিবার সকালে বাঁকুড়ার ইঁদপুর থানার বাংলা এলাকায় ভাড়াবাড়িতে চন্দনা মণ্ডল (২৫) নামে এক বধূর মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। দুপুরে মৃতার বাবা চিত্ত মণ্ডল ইঁদপুর থানায় জামাই হৃদয় মণ্ডল ও বেয়াই জিতেন মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইঁদপুর ও হুড়া শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৪ ০১:১২
Share: Save:

দুই বধূকে খুন করার অভিযোগে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

শনিবার সকালে বাঁকুড়ার ইঁদপুর থানার বাংলা এলাকায় ভাড়াবাড়িতে চন্দনা মণ্ডল (২৫) নামে এক বধূর মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। দুপুরে মৃতার বাবা চিত্ত মণ্ডল ইঁদপুর থানায় জামাই হৃদয় মণ্ডল ও বেয়াই জিতেন মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূর গলায় কালশিটের দাগ রয়েছে। তবে কী ভাবে ওই বধূর মৃত্যু হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওই বধূর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে।

বছর চারেক আগে ইঁদপুরের বুড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হৃদয়ের সঙ্গে ওই থানারই বাঁশি গ্রামের চন্দনার বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মাস কয়েক আগে বাংলা এলাকায় তাঁরা ভাড়াবাড়িতে উঠে আসেন। মৃতার বাবার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে সাংসারিক নানা কারণে এবং পণের দাবিতে বিয়ের পর থেকেই চন্দনার উপরে অত্যাচার করছিল ওঁর স্বামী ও শ্বশুর। শনিবার রাতে তারাই চন্দনাকে খুন করে পালিয়েছে বলে তাঁর দাবি।

এ দিকে পাশের জেলা পুরুলিয়ার হুড়া থানা এলাকার জোজোডি গ্রামের এক বধূকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে বুধবার শ্বশুরবাড়িতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন গৃহবধূ রিয়া সুপকার (২৮)। তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে সেই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা জগন্নাথ কর্মকার শনিবার মেয়েকে খুন করার জন্য জামাই দেবকুমার সুপকারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আট বছর আগে দেবকুমারের সঙ্গে হুড়া থানারই লধুড়কা গ্রামের রিয়ার বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দু’টি মেয়ে রয়েছে।

জগন্নাথবাবু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপরে অত্যাচার চলছিল। বুধবার সকালেই রিয়া বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। সেখানেই জামাই তাঁর মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

indpur hura murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE