মডেল আইসিডিএস ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে মেঝেয় ফাটল দেখলেন খোদ বিধায়ক। শুধু ফাটলই নজরে পড়েনি, তাঁর আসার আগে তাপ্পি মেরে ওই ফাটল বোজানোর চিহ্নও স্পষ্ট দেখেন মানবাজারের বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু। সোমবার বামনি মাঝিহিড়া পঞ্চায়েত এলাকায় লড়রা গ্রামের ঘটনা।
বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। লড়রা গ্রামে স্থিত আইসিডিএস ভবনটি দেখে বিধায়ক ক্ষুব্ধ হন উপস্থিত বাসিন্দাদের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ভবনটি তিন মাস আগে নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ দেখে মনে হচ্ছে অনেক দিনের পুরানো। ঘরের মেঝের কয়েক জায়গায় ফাটল ছিল। ওই ফাটল বোজানোর ছাপ স্পষ্ট।”
রাজ্য সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী মানবাজার ১ ব্লকে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় অন্তত একটি করে মডেল আইসিডিএস ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিপূর্বে ৭টি মডেল ভবন নির্মাণ হয়েছে। বিধায়ক এ দিন আরও তিনটি নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন। বিধায়ক জানিয়েছেন, দরজা-জানলার কাঠও ভাল দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে উই ধরে গিয়েছে। সন্ধ্যাদেবী বলেন, “এই ধরনের অনিয়ম ঘটলে সবাই বিধায়ককে অভিযোগ জানায়। অথচ এ ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। ভবন নির্মাণ হলেও জলের ব্যবস্থা হয়নি। নলকূপের মাথা বসানো নেই। যদি জল না ওঠে বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতে পারত। উদ্বোধনে না এলে এ সবই জানতেই পারতাম না!”
অনুষ্ঠানে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (নারী ও শিশু কল্যাণ স্থায়ী সমিতি ) নিয়তি মাহাতো, মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মাহাতো উপস্থিত ছিলেন। নিয়তিদেবী বলেন, “আইসিডিএস দফতরের আধিকারিকের ভবন নির্মাণের সময় খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিডিপিও বিনোদবিহারী মুর্মুর সাফাই, “যতক্ষণ না আমাদের হাতে ভবন তুলে দেওয়া হচ্ছে, তার আগে আমরা কিছু বলতে পারি না। তবে ভবনের হাল দেখে মনে হচ্ছে দায় সারা ভাবে কাজ হয়েছে।” মানবাজার ১ ব্লকের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “অনুষ্ঠানে আমারও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। ব্লক অফিসের জরুরি প্রয়োজনে যেতে পারিনি। খুব শীঘ্রই একজন ইঞ্জিনিয়রকে নিয়ে ওই ভবন পরীক্ষা করিয়ে ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy