নির্দিষ্ট সময়ে জমা পড়ছে না শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং আয়করের হিসেব। এর জেরে পিএফের সুদ যেমন মিলছে না, তেমনই আয়কর দফতর জরিমানাও করছে। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতরে স্মারকলিপি দিল বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ।
সংগঠনের বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাখার সম্পাদক আশিস পান্ডে-র দাবি, ২০১২ সাল থেকেই জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর শিক্ষকদের আয়কর সংক্রান্ত বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব একটি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে। প্রতিবছর শিক্ষকদের কাছে থেকে এ জন্য ৮০ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়। অথচ দু’বছর ধরে ওই সংস্থা কী কাজ করছে তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি বলেন, “সংস্থাটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দু’বছর শিক্ষকরা আয়কর ফাইল করার ফর্ম ১৬ পায়নি। তাই আয়ের তথ্যও আয়কর দফতরকে দেখানো যায়নি। ফলে বহু শিক্ষককেই জরিমানার নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর।” তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। শুধু আয়করের বিষয়েই নয়, ঠিক সময়ে পিএফ জমা না পড়াতেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। বিক্ষোভে যোগ দেওয়া শিক্ষকরা বলেন, “প্রতিমাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পিএফের টাকা জমা পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা পড়ছে না। ফলে আমরা পিএফের সুদ ঠিকঠাক পাচ্ছি না।” তৃণমূল শিক্ষা সেলের বাঁকুড়া জেলার আহ্বায়ক গৌতম দাস বলেন, “২০১২-১৩ আর্থিক বছরে এই প্রকল্প চালু হয়। গোড়ায় কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হলেও আশাকরি চলতি আর্থিক বছরে আর সমস্যা হবে বলে মনে হয়। যাঁরা জরিমানার নির্দেশ পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।”
জেলার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমিয়রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি সদ্য এই পদে এসেছি। আয়কর ফাইল করার দায়িত্ব যে সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পিএফের টাকা কেন জমা পড়ছে না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” চেষ্টা করেও ওই সংস্থার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy