দুর্ঘটনায় দুমড়ে গিয়েছে মোটরবাইকের সামনের অংশ।—নিজস্ব চিত্র।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বিশ্বভারতীর এক ছাত্রের। জখম আরও এক ছাত্র। মঙ্গলবার ভোর রাতে শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন রোডে, সুইমিংপুলের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃত ছাত্রের নাম অনিলকুমার সেন (২৫)। বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের (তবলা) ওই ছাত্রের বাড়ি দুর্গাপুরে। ঘটনায় জখম সঙ্গীতভবনেরই এমফিল-এর ছাত্র সঞ্জীব সরকারকে সবার আগে বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সঞ্জীবের বাড়ি পুরুলিয়ায়।
পুলিশ ও বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, সঙ্গীতভবনের ওই দুই ছাত্র শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর ছাত্র পরিচালকের দফতরের কাছে ‘অপূর্ব ঘোষ বয়েজ হস্টেলে’র আবাসিক। সোমবার রাত ১১টার পরে দু’জনে মোটরবাইকে চেপে বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু, তাঁরা কোথায় গিয়েছিলেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এ নিয়ে হস্টেলের আবাসিকরাও মুখ বন্ধ করেছেন। ভোরে হস্টেলে ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, অনিলদের মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান অনিল। জখম হন সঞ্জীব। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা বিভাগের ড্রপ গেট। আওয়াজ পেয়ে সেখান থেকে নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানান, অনিলের আগেই মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান সঙ্গীতভবনের অধ্যক্ষ সব্যসাচী সরখেল। পরে তিনি বলেন, “আমরা মর্মাহত! কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।” যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কুয়াশার কারণে তখন আলো বেশ কম ছিল। আবার স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই রাস্তায় মাঝে মধ্যেই পথ আটকে গরু-ছাগল বসে থাকে। তার জেরে মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আরোহী দুই ছাত্রের মদ্যপ অবস্থায় থাকার অনুমানও উড়িয়ে দিচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy