Advertisement
E-Paper

বিজেপি-র দুই নেতাকে মারধর

সারদা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে শুক্রবার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। তার আগে বাঁকুড়ার জয়পুর ও পাত্রসায়র থানা এলাকায় বিজেপি-র দুই ব্লক সভাপতিকে মারধর করা ও বিজেপি-র একটি কার্যালয়ে তালা ঝিলেয় দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি-র অভিযোগ, তাদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করতেই পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১১

সারদা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে শুক্রবার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। তার আগে বাঁকুড়ার জয়পুর ও পাত্রসায়র থানা এলাকায় বিজেপি-র দুই ব্লক সভাপতিকে মারধর করা ও বিজেপি-র একটি কার্যালয়ে তালা ঝিলেয় দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি-র অভিযোগ, তাদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করতেই পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।

বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১০টা নাগাদ বিজেপি-র জয়পুর অফিসে তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই অফিসে ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি নিমাই দে এবং জেলা কমিটির সদস্য রোহিণী পাল। দলের বিষ্ণুপুর মহকুমা কমিটির সভাপতি স্বপন ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকজন নিমাইবাবু ও রোহিণীবাবুকে মারধর করে দলীয় অফিস থেকে বের করে দেয়। তারপর আমাদের দলীয় অফিসের দরজায় ওরা তালা ঝুলিয়ে দেয়। থানায় বিক্ষোভ দেখালে ফল খারাপ হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।” শুক্রবার তিনি জয়পুর থানায় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেন।

যদিও তৃণমূলের জয়পুর ব্লক সভাপতি স্বপন কোলে তাঁদের দলের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “ওই পার্টি অফিসের মালিকানা নিয়ে বাড়ির মালিকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। বিজেপি আমাদের মিথ্যা অভিযোগে জড়াচ্ছে।”

অন্য দিকে, পাত্রসায়র ব্লক অফিসের কাছে এ দিন দুপুরে বিজেপি-র ব্লক সভাপতি মোহন কাপড়ীকেও তৃণমূলের কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। মোহনবাবু পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতাও বটে। তাঁর অভিযোগ, “থানায় বিক্ষোভ দেখানোর জন্য বাস থেকে পাত্রসায়রে নেমে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ব্লক অফিসের কাছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা গোপে দত্ত, মোহর আলি মিদ্যা-সহ কয়েকজন আমাকে রাস্তায় ফেলে পেটায়। মাথায় ও কোমরে আঘাত পেয়েছি। পরে থানায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।”

তাঁরও দাবি, থানায় বিজেপি-র কর্মসূচি ভেস্তে দিতেই তাঁর উপরে হামালা চালানো হয়েছে। তবে গোপের দাবি, “আমাদের দলনেত্রীর বিরুদ্ধে গালিগালাজ করছিলেন মোহনবাবু। স্থানীয় মানুষই এ সব সহ্য করতে না পেরে ওঁকে পিটিয়েছে। আমার নামে মিথ্যা বদনাম করা হচ্ছে।” পুলিশ দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

joypur patrasayer bjp beaten
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy