সংগঠন পরিচালনা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে সংগঠন ছাড়লেন দক্ষিণপূর্ব রেলওয়ে তৃণমূল মেনস কগ্রেসের নেতা নিখিল চট্টেোপাধ্যায়। রবিবার অনুগামীদের নিয়ে নিখিলবাবু যোগ দিয়েছেন রেলে বিজেপির সংগঠন দক্ষিণপূর্ব রেলওয়ে মজদুর সঙ্ঘ (ডিপিআরএমএস)-এ। তবে তৃণমূল মেনস কংগ্রেস থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকদিন আগেই নিখিলবাবুকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই রেল কর্মীদের মধ্যে প্রভাব বাড়াতে রেলে সংগঠন তৈরি করে তৃণমূল। নাম হয় ‘তৃণমূল মেনস কংগ্রেস’। চলতি বছরেই রেলকর্মী সংগঠন হিসেবে বৈধতা পাওয়ায় নির্বাচনে লড়াই করেছিল তৃণমূল মেনস কংগ্রেস। তবে বৈধতা পাওয়ার জন্য ন্যূনতম সমর্থন পায়নি তারা। দক্ষিণপূর্ব রেলে মাত্র পাঁচ শতাংশ রেলকর্মীর সমর্থন পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এরই মধ্যে কেন্দ্রে পালা বদল হয়েছে। এর পরেই দক্ষিণপূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের নেতা নিখিলবাবু সংগঠন ছেড়ে বিজেপির দিকে যাওয়াতে রেলকর্মীদের মধ্যে সংগঠন বিস্তারের কাজে তৃণমূল কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন রেলকর্মীদের একাংশ। ঘটনা হল, নিখিলবাবু ছিলেন আদ্রা ডিভিশনে সংগঠনের ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর এবং কর্মী সংগঠন হিসেবে বৈধতা পাওয়ায় নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল নিখিলবাবু-সহ তাঁর অনুগামীদের।
রবিবার আদ্রার একটি কমিউনিটি হলে বিজেপির রেলকর্মী সংগঠন ডিপিআরএমএস-এ একটি সভাতে দলবল নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছেন তিনি। সংগঠন ছাড়লেন কেন? নিখিলবাবুর অভিযোগ, “রেলকর্মীদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে তৃণমূল মেনস কংগ্রেস কোনও আন্দোলনের পথে হাঁটতেই রাজি নয়। তা ছাড়া যে ভাবে সংগঠন পরিচালনা হচ্ছে, তা নিয়ে সংগঠনের নিচুতলার মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। বিষয়গুলি নিয়ে ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে কথা বলেও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির সংগঠনে যোগ দিয়েছি।” তিনি দাবি করেছেন, আদ্রা ডিভিশনের বেশ কিছু শাখা সংগঠনের নেতাকর্মীরাও তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে তৃণমূল মেনস কংগ্রেসের আদ্রার ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটার শিবশঙ্কর বিশ্বাস পাল্টা দাবি করেছেন, “১২ নভেম্বরই নিখিলবাবুকে সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি বিজেপিতে গিয়ে ভিড়েছেন। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে আমি আদ্রা ডিভিশনের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব সামলাচ্ছি।” এ দিন, নিখিলবাবুর সঙ্গে সংগঠনের অন্য কোনও পদাধিকারী বিজেপির সংগঠনে যায়নি বলে দাবি করেছেন শিবশঙ্করবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy