ছ’মাস আগেই পঞ্চায়েতের ক্ষমতার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। নিয়মের গেরোয় বান্দোয়ানের সুপুডি পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন। শুক্রবার ওই কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বিডিও-র কাছে আবেদন জানাল তৃণমূল।
কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিএম এবং নির্দল জোট গড়ে গত এক বছর ধরে বান্দোয়ানের সুপুডি পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। ওই পঞ্চায়েতের মোট আসন ১১টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল দল পায় ৫টি আসন। সিপিএম ৩টি এবং কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক ও নির্দল ১টি করে আসন পায়। কংগ্রেসের বিভূতি মুদিকে প্রধান নির্বাচিত করে বাকিরা সবাই জোট করেন। বিরোধী শিবিরে যায় তৃণমূল।
ছ’মাস আগে ফরওয়ার্ড ব্লকের পঞ্চায়েত সদস্য লীলাবতী মণ্ডল দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সর্বস্তরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে তৃণমূল দলে যোগ দিলে এই পঞ্চায়েতে উন্নয়নের গতি বাড়বে। তিনি যোগ দেওয়ায় তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও সুপুডি পঞ্চায়েতে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়নি। কারণ পঞ্চায়েত আইনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার এক বছরের আগে ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতার পরিবর্তন চেয়ে অনাস্থা আনা যায় না। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারালেও আইনের গেরোয় কংগ্রেসের বিভূতি মুদিই প্রধান থেকে যান। সেই সময় সীমা শেষ হওয়ায় এ বার অনাস্থা আনল তৃণমূল।
কংগ্রেসের বান্দোয়ান ব্লক সভাপতি ভক্তরঞ্জন মাহাতো বলেন, “তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে আবেদন জানাতেই পারে। কারণ এখন ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।” প্রধান বিভূতি মুদি বলেন, “অনাস্থার চিঠি শুক্রবার পেয়েছি।” তৃণমূলের বান্দোয়ান ব্লক যুব সভাপতি জগদীশ মাহাতো বলেন, “সুপুডি পঞ্চায়েতের দখল পাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। বান্দোয়ানের ৮টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি আমাদের দখলে চলে আসবে।” বান্দোয়ানের বিডিও মধুসূদন মণ্ডল বলেন, “শুক্রবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুপুডি পঞ্চায়েতে অনাস্থা চেয়ে আমাকে চিঠি দিয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের বর্তমান বোর্ড ২০১৩ এর ২২ অগস্ট গঠিত হয়েছিল। অনাস্থার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy