Advertisement
E-Paper

বিবাদের জেরে খুন, ধৃত এক

পুকুরে মাছ চুরিকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ় তৃণমূল কর্মীকে টাঙ্গির কোপ মেরে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই পড়শিদের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়র থানার পান্ডুয়া গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় লেগে গেল রাজনীতির রং-ও। নিহতের নাম কৃষ্ণ সিং (৪৫)। নিহতের ছেলে সোমবার পুলিশের কাছে স্থানীয় সিপিএম সমর্থক বিকাশ সিং, বাবলু সিং, সুভাষ সিং, সারথি বাউরি-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩০

পুকুরে মাছ চুরিকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ় তৃণমূল কর্মীকে টাঙ্গির কোপ মেরে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই পড়শিদের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়র থানার পান্ডুয়া গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় লেগে গেল রাজনীতির রং-ও। নিহতের নাম কৃষ্ণ সিং (৪৫)। নিহতের ছেলে সোমবার পুলিশের কাছে স্থানীয় সিপিএম সমর্থক বিকাশ সিং, বাবলু সিং, সুভাষ সিং, সারথি বাউরি-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পেশায় চাষি কৃষ্ণবাবুকে খুনের অভিযোগে তাঁরই সম্পর্কিত ভাই পুলিশ কর্মী সুভাষ সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি মেদিনীপুরে কর্মরত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পান্ডুয়া গ্রামের পোদো নামে একটি পুকুরে শনিবার দুপুরে মাছ ধরাকে ঘিরে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ওই পুকুরটি পাহারা দিতেন ওই গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ সিং-সহ কয়েক জন। এলাকার বাসিন্দা তথা পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শাজাহান মিদ্যার দাবি, শনিবার দুপুরে বিকাশ সিং, বাবলু সিং-সহ কয়েক জন ওই পুকুরে মাছ চুরি করছিল। সেই সময় কৃষ্ণ সিং এবং আরও কয়েক জন তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পাড়ার লোকেরা বিহিত চেয়ে পুকুর মালিকের দ্বারস্থ হন। পুকুর মালিক সকলকে নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মীমাংসায় বসবেন বলে কথা দেন। শাজাহানের অভিযোগ, “তার আগেই সুভাষ সিংরা দলবল নিয়ে গ্রামে এসে কৃষ্ণের বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে টাঙ্গি নিয়ে কোপানো হয়। বাধা দিতে গিয়ে পাশের বাড়ির এক মহিলাও মার খান। ওই মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে হামলাকারীরা।” স্থানীয় মানুষ কৃষ্ণবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পেশায় চাষি কৃষ্ণবাবুর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। নিহতের বড় ছেলে সাহেব সিংয়ের অভিযোগ, “আমরা তৃণমূল করি। সেজন্য গ্রামের সুভাষ সিং, বিকাশ সিং, বাবলু সিংদের আমাদের উপরে দীর্ঘদিন ধরেই আক্রোশ। বাবা মাছ চুরির প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই সুভাষ সিং পরিকল্পিত ভাবে বাবাকে খুন করেছে।” তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “পুলিশে চাকরি করার সুবাদে সুভাষ গ্রামে এলেই হম্বিতম্বি করে। সুভাষই ছক কষে সিপিএমের সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের নিয়ে আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী কৃষ্ণকে খুন করিয়েছে।”

সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির সম্পাদক লালমোহন গোস্বামীর অবশ্য দাবি, এই খুন পুরোপুরি পারিবারিক বিবাদের জের। তাতে অহেতুক রাজনীতির রং লাগিয়ে তৃণমূল কিছু সিপিএম সমর্থকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ দিন সকালে মৃত্যুর খবর পান্ডুয়া গ্রামে পৌঁছনোর পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান।

patrasayar tmc candidate clash murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy