Advertisement
E-Paper

বাসুদেবকে কটূক্তি, বিতর্কে সৃষ্টিধর

সিপিএমের বর্ষীয়ান প্রার্থী বাসুদেব আচারিয়াকে গরু, গাধা বলে বিতর্কে জড়ালেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো। শুক্রবার নিতুড়িয়ার গোবাগে দলের নির্বাচনী সভায় প্রার্থী মুনমুন সেনকে পাশে নিয়ে ওই তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, “আপনারা ন’-ন’বার একটাই গাই পুষছেন, যার পেটে কোনও দুধ বেরোয়নি। তাঁর নাম বাসুদেব আচারিয়া।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫০

সিপিএমের বর্ষীয়ান প্রার্থী বাসুদেব আচারিয়াকে গরু, গাধা বলে বিতর্কে জড়ালেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো। শুক্রবার নিতুড়িয়ার গোবাগে দলের নির্বাচনী সভায় প্রার্থী মুনমুন সেনকে পাশে নিয়ে ওই তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, “আপনারা ন’-ন’বার একটাই গাই পুষছেন, যার পেটে কোনও দুধ বেরোয়নি। তাঁর নাম বাসুদেব আচারিয়া।”

বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া জানিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে দলের তরফে জেলাশাসক ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হচ্ছে। এ দিন বিকেলে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ পুরুলিয়ার জেলাশাসকের কাছে সৃষ্টিধরবাবুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেন। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “সিপিএমের তরফে ওই অভিযোগ এবং সভার ভিডিও সিডি পেয়েছি। তা দেখে আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গ হয়েছ কি না খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সৃষ্টিধরবাবু যখন ভরা সভায় ওই বক্তব্য রাখছেন, তখন সেই মঞ্চে রয়েছেন দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূণর্র্চন্দ্র বাউরি, বাঁকুড়ার সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, ওন্দার বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব অরূপ খাঁ প্রমুখ। সৃষ্টিধরবাবুর বক্তব্যতে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। তবে সৃষ্টিধরবাবু ওই টুকু বলেই থেমে যাননি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “আপনারা হালের গরু কিনেছেন, যেটা হাল বয়না, কোন কাজেই লাগে না। কুঁড়ে গরু একেবারে অপদার্থ।” মঞ্চে তখন উসখুস শুরু করেছেন নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের হাততালির মধ্যেই সৃষ্টিধরবাবু নির্বাচনের লড়াইতে মূল প্রতিপক্ষ বাসুদেববাবুর উদ্দেশে বলে চলেন, “উনি না কি সিপিএমের সংসদীয় দলনেতা। তাহলেই বুঝুন সিপিএম দলটা কত নির্বোধ যে ওনার মতো গাধাকে সাংসদ করেছে।” রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রচুর টাকার ঋণ করে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বাসুদেববাবুকে ‘বেহায়া’ বলেও সমালোচনা করেন। সিপিএমের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, “আপনারা কমরেডদের বলুন ১৫ বছর চুপচাপ থাকুন। বাঁদরামি করলে তার যোগ্য জবাব পাবেন।”

সভা শেষে সৃষ্টিধরবাবুর বক্তব্য ঘিরে অন্দরেই এই মন্তব্য ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ এই জেলায় বিপক্ষের রাজনৈতিক প্রার্থীদের সম্পর্কে এমন অসংসদীয় মন্তব্যের রেওয়াজ এই জেলায় ছিল না বললেই চলে। শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ রয়েছে রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে শিষ্টাচার মেনে বক্তব্য রাখতে হবে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো কারোর মুখ ফস্কে কিছু মন্তব্য বেরিয়ে যাচ্ছে। এটা কখনোই কাম্য নয়।” তৃণমূল সূত্রের খবর সৃষ্টিধরবাবুকে ওই বিষয়ে সর্তক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় সৃষ্টিধরবাবু বলেন, “বাসুবাবুর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়। কিন্তু তিনি এতদিন সাংসদ থেকেও কোনও কাজ করেননি। তাই তুলনা টানতে ওই কথা বলেছি। তাঁকে আঘাত দেওয়ার জন্য বলিনি।”

আর বাসুদেববাবুর প্রতিক্রিয়া, “অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা যখন রাজনীতিতে আসেন, তখনই এই ধরনের মন্তব্য বেরিয়ে আসে তাদের মুখ থেকে। নূন্যতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার থাকলে এই ধরনের কথা বলা সম্ভব নয়।” তাঁর সংযোজন, আসলে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরছে বলেই এই ধরনের মন্তব্য করছেন ওদের নেতারা।

বিয়ে রুখল প্রশাসন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকার একটি গ্রামে নাবালিকার বিয়ে আটকাল প্রশাসন। নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও গোবিন্দ নন্দী বলেন, “কর্মী পাঠিয়ে বিয়ে আটকানো হয়েছে। মেয়ের বাবা-মা জানিয়েছেন, ১৮ না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না।

basudeb acharia cpm
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy