Advertisement
E-Paper

বস্তি উন্নয়নের টাকা মিলল

দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের অপেক্ষাই সার হয়েছে। কিন্তু, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েও বস্তির উন্নয়নে কোনও পদক্ষেপ নজরে পড়েনি সেখানকার বাসিন্দাদের। প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ১৫ মার্চ ওই কাজেরই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০১:০৯

দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের অপেক্ষাই সার হয়েছে। কিন্তু, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েও বস্তির উন্নয়নে কোনও পদক্ষেপ নজরে পড়েনি সেখানকার বাসিন্দাদের। প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ১৫ মার্চ ওই কাজেরই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রামপুরহাটে প্রশাসনিক জনসভায় যোগ দিতে এসে রামপুরহাট পুরসভার ধুলাডাঙা রোডের ওই ২৭২ জন বস্তিবাসীর দুর্দশা মেটাতে ফের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে চলেছে প্রশাসন। ওই বস্তিবাসীদের জন্য গড়ে তোলা হবে ছোট পাকা বাড়ি।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে জনসভায় যোগ দিতে এসে রামপুরহাট পুরসভার ৪, ৬ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এবং সংযোগ স্থল ধুলাডাঙা রোডের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু বস্তিবাসীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে তিনি ওই মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের খলপার তৈরি অস্থায়ী ঘরগুলি পরিদর্শনও করেন। ওই বস্তিবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, বর্ষায় ঘরগুলি কার্যত ভেঙে যায়। তখন নিরাশ্রয় হয়ে বসবাস করতে হয় তাঁদের। ওই বাসিন্দারা এমন অভিযোগও করেন, পুরসভা সব কিছু জেনেও কোন পদক্ষেপ করেনি। তাঁরা বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধাও পাননি। তাঁদের দুর্দশা দেখে মুখ্যমন্ত্রী সে দিন বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। এর পরেই তিনি রামপুরহাট পুরসভাকে ওই গরিব মানুষের বসবাসের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার জন্য তিনি ৮ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুরও করেছিলেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

কিন্তু, এত দিনেও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত ওই প্রকল্প রূপায়িত হয়নি। আশিসবাবুর দাবি, “পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী ওই নির্ধারিত প্রকল্পের জন্য ২৫ শতাংশ টাকা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই টাকা পুরসভায় পৌঁছেও গিয়েছে। কাজ শুরু হলেই বাকি টাকা পাওয়া যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাসও দিয়েছেন।”

rampurhat slum development money
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy