ইন্দিরা গাঁধীর স্মরণ সভা থেকেই পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কংগ্রেস। সভার শেষে কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির এবারের পুরভোটের নেতৃত্বের নাম ঘোষণা থেকেই সেই প্রস্তুতির শুরু। এ বার আসন্ন পুর নির্বাচনে নেতৃত্ত্ব দেবেন শহরের তিন বারের পুরপ্রধান তরুণ ঘোষ।
গত শনিবার সাঁইথিয়ার বলাকার মাঠে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় ছিলেন, দলের রাজ্য সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র তথা, জঙ্গিপুরের সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়ার ভূমিপুত্র ও মুর্শিদাবাদ জেলার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস-সহ মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন বিধায়ক। তাঁদেরকে পাশে বসিয়ে সভার শেষে বীরভূমের জেলা সভাপতি ঘোষণা করেন তরুণবাবুর নাম। তরুণবাবুর বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে একটা খবর রটেছিল, আমিও না কি শাসকদলে যোগ দিচ্ছি। আমি কোনওদিন পরাধীন ভাবে বাঁচতে পারব না। তাই কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।”
সাঁইথিয়া বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে রাজ্যে পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে জেলার অন্য জায়গার মতো এখানেও কংগ্রেসে ভাঙন ধরে। পরবর্তীতে কংগ্রেস নেতাদেরই একটি বড় অংশ দল পাল্টে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই সঙ্গে এই শহরের পুরসভার সাইনবোর্ডেও কংগ্রেসের পরিবর্তে তৃণমূলের নাম লেখা হয়। পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধান বদল হয়। তবে পুরসভার ক্ষমতায় যাঁরা ছিলেন তাঁরাই রয়েছেন। গত শনিবারে ডাকা ওই কর্মী সভায় অভিজিতবাবু বলেন, “সবাই জানেন যাঁরা দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে এসেছেন, আজ তাঁদের অনেকেই সুবিধা পেতে দল পাল্টেছেন। এই শহর কংগ্রেসের শহর।” সাঁইথিয়ার কর্মিসভায় স্থানীয়দের ভিড় দেখে যথেষ্ট খুশি দেখাচ্ছিল অধীরবাবুকে। তিনি সাঁইথিয়ায় দল বদলকরা কংগ্রেস নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন। কারও নাম না করে তিনি বলেন, “সাময়িক ভাবে কিছু সুবিধা পেতে পারে, কিন্তু আপনারা এঁদেরকে চিনে নিন। তরুণবাবু অসুস্থ ছিলেন। তাই আপনাদেরকে খুব একটা সময় দিতে পারেননি। এ বার পারবেন। তরুণবাবুর নেতৃতেই এই শহরে পুর নির্বাচনে কংগ্রেস লড়াই করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy