Advertisement
E-Paper

মজুরি বৃদ্ধির দাবি পুরকর্মীদের

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ রাখলেন রামপুরহাট পুরসভার সাফাই কর্মীদের একাংশ। এর জেরে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিষেবা ব্যহত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুরে আন্দোলন কারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুরপ্রধান। আলোচনার পরে আন্দোলনকারীরা ফের কাজে যোগ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩৫
তখনও ওঠেনি রামপুরহাট পুরসভার সাফাই কর্মীদের ধর্মঘট। দাঁড়িয়ে রয়েছে জঞ্জাল বয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়িগুলি।  —নিজস্ব চিত্র

তখনও ওঠেনি রামপুরহাট পুরসভার সাফাই কর্মীদের ধর্মঘট। দাঁড়িয়ে রয়েছে জঞ্জাল বয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়িগুলি। —নিজস্ব চিত্র

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ রাখলেন রামপুরহাট পুরসভার সাফাই কর্মীদের একাংশ। এর জেরে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিষেবা ব্যহত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুরে আন্দোলন কারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুরপ্রধান। আলোচনার পরে আন্দোলনকারীরা ফের কাজে যোগ দেন। পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি জানান, সাফাই কর্মীদের মধ্যে যাঁরা শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা জঞ্জাল ট্রাক্টরে করে তুলে শহরের বাইরে ফেলেন সেই সব কর্মীরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। পুরপ্রধানের দাবি, “ওই সমস্ত কর্মীরা অস্থায়ী। দৈনিক কাজের ভিত্তিতে মজুরি পান। কাজ করলে তাঁদেরকে ১৩০ টাকা করে দেওয়া হয়।” অন্য দিকে, আন্দোলনে সামিল ২০ জন শ্রমিকদের দাবি, শ্রমআইন অনুযায়ী অদক্ষ শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে ৮ ঘণ্টা কাজের জন্য সরকার নির্ধারিত ২৪৫ টাকা হিসাবে মজুরি দিতে হবে। আন্দোলনকারী লক্ষণ হাজরা, সুবোধ হাজরারা বললেন, “রামপুরহাট মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে পুরপ্রধান আমাদেরকে ৮ ঘণ্টা কাজের জন্য দৈনিক ২৪৫ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। সেই মতো আমরা অগস্ট মাস থেকে ৮ ঘণ্টা কাজ করি। কিন্তু অগস্ট মাসের মজুরি বাবদ দেখা যায় আমাদেরকে ১৩০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদেরকে দৈনিক ১৫৬ টাকা ৮ ঘন্টা কাজের জন্য দেওয়া হবে। আমরা সেই কারণে সকাল থেকে কাজে কেউ যোগ দিইনি।”

দুপুরে বৈঠকের পরে শেষ পর্যন্ত দৈনিক ১৭৫ টাকা মজুরি দেওয়া হবে বলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন। আন্দোলনরত শ্রমিকেরা বলেন, “আমরাও ওই মজুরিতে কাজ করতে রাজি হয়েছি। কারণ, আমরা অস্থায়ী কর্মী। যদি দৈনিক ২৪৫ টাকা মজুরির দাবিতে অনড় থাকতাম তা হলে চাপ আসত। এ ছাড়াও অগস্ট মাসের জন্য বাড়তি মজুরি দেওয়া হবে বলে পুরপ্রধান যখন জানালেন তখন ওই টাকায় কাজ করতে আমরা রাজি হয়ে যাই।” এ দিকে এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাফাই না হাওয়ায় রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কার্যালয়, ট্রেজারি অফিসের সামনে, জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন-সহ বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা জমে থাকে। পরে সমস্যা মিটে যাওয়ায় কর্মীরা কাজ শুরু করেন। তাও সব জঞ্জাল পরিষ্কার হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

rampurhat wage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy