Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্কুল মাধ্যমিকে উন্নীত হবে, আশ্বাস শতাব্দীর

স্কুল বাঁচাতে লড়াই চালাচ্ছেন অভিভাবকরা। আর সেই লড়াইয়ের প্রশংসা করে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। অভিভাবকদের লড়াইকে স্বাগত জানিয়ে স্কুলকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নিত করার আশ্বাস দেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আসরাফ আলি মির্ধাও।

নতুন শ্রেণিকক্ষের উদ্বোধনের পরে সভাধিপতি ও সাংসদ।  নিজস্ব চিত্র

নতুন শ্রেণিকক্ষের উদ্বোধনের পরে সভাধিপতি ও সাংসদ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৫
Share: Save:

স্কুল বাঁচাতে লড়াই চালাচ্ছেন অভিভাবকরা। আর সেই লড়াইয়ের প্রশংসা করে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। অভিভাবকদের লড়াইকে স্বাগত জানিয়ে স্কুলকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নিত করার আশ্বাস দেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আসরাফ আলি মির্ধাও। এখন এই আশ্বাসেই ভরসা খুঁজছে, সিউড়ি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধাপার মাঠের এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। বৃহস্পতিবার ছিল সেই স্কুলেরই ষষ্ঠতম বার্ষিক উত্‌সব।

আড়াই বছর আগে ওই স্কুলের মালিকরা যখন স্কুল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, সে সময় ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিপাকে পড়ে যান অভিভাবকরা। কিছু অভিভাবক ঠিক করেন তাঁরা নিজেরাই স্কুল চালাবেন। পরিস্থিতির সামাল দিতে তাঁরা নিজেরাই গঠনও করেন এডুকেশন্যাল সোসাইটি নামে স্কুল বাঁচাও কমিটি। ওই কমটির কর্ণধার হন সামসুল রহমান নামে এক অভিভাবক। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে ৩০০ জন পড়ুয়া নিয়ে স্কুলটি চালু হয়েছিল। তত্‌কালীন পুরসভা অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পরিকাঠামো সহ স্কুলের মালিকদের লিজ দিয়েছিল।” এডুকেশন্যাল সোসাইটির উদ্যোগে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরা তাঁদের স্কুল ঘিরে কিছুটা হলেও ভরসা পায়। প্রথমে ১২ জন শিক্ষক এবং সাত জন অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয় স্কুলে। পড়ুয়াদের জন্য আবাসিক হোষ্টেলও ছিল। তিনটি গাড়ি পড়ুয়াদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে গাড়িগুলি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ক্রোক করলেও অভিভাবকদের অনুরোধে সেই গাড়িগুলি আবার স্কুলের জন্য ব্যাঙ্ক উপহার হিসাবে দিয়ে দিয়ে দেয়।

এ দিকে স্কুল চালু রাখতে গিয়ে সে সময়, স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দিতে প্রায় এখন প্রায় দু’লক্ষ টাকা লোকসান দিতে হয়। স্কুল সূত্রে খবর, এই অবস্থায় স্কুল বাঁচাতে শিক্ষকরা তাঁদের বেতনের ৪০ শতাংশ না নিয়ে স্কুল চালাতে রাজী হয়ে যান। ইতিমধ্যে স্কুলটি সরকারী স্কুলের অনুমোদনও পেয়ে যায়। এ দিন স্কুলে অডিও ভিস্যুয়াল পদ্ধতিতে পড়ানো হচ্ছে দেখে, অভিভাবকদের লড়াইয়ের প্রশংসা করে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “স্কুলের উন্নতির জন্য আমার দিক থেকে যত টুকু সাহায্য করব।” একইভাবে স্কুলকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী এবং বিধায়ক স্বপন কান্তি ঘোষ।

জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক ) আসরাফ আলি মির্ধা বলেন, “স্কুলটি বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন মিলেছে। স্কুলটিকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নিত করার আবেদন জানালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

siuri private school development satabdi roy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE