সিপিএমের প্রচারে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে বোলপুরের সর্পলেহনা-আলবাঁধা পঞ্চায়তের রতনপুরে। সিপিএমের জেলা কমিটির বর্ষীয়ান সদস্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিরেন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ পাঁচ জন গুরুতর জখম হন। হিরেন্দ্রবাবু-সহ দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বোলপুর চৌরাস্তা মোড়ে প্রতীকী পথ অবরোধ এবং সন্ধ্যায় মিছিল করে সিপিএম।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমের সমর্থনে শনিবার জেলায় আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সেই জনসভার জন্য এ দিন সকালে গাড়িতে করে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সিপিএমের হিরেন্দ্রনাথবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কোপাই লোকাল কমিটির দুই সদস্য অবিনাশ পাল, মরদান হেমব্রম, বোলপুর শহর লোকাল কমিটি সদস্য সুচিত্র মাইথি এবং শহর সদস্য কাঞ্চন ভকত-সহ ৬ জন। সর্পলেহনা-আলবাঁধা পঞ্চায়তের বিভিন্ন এলাকা ঘোরার পরে ১০টা ২০ নাগাদ রতনপুরে ঢুকতেই তৃণমূলের নেতাকর্মী ও আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক উৎপল রুদ্রের অভিযোগ, “ওই অঞ্চলের তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা নির্দল প্রার্থীর বাবা সাগরচন্দ্র ঘোষ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মহাদেব রায় ও তার দলবল হামলা চালিয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করে সকলকে নামিয়ে লাঠি, রড, টাঙ্গি, ভোজালি এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচন আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন সকলের অনুমতি রয়েছে। তার পরেও পুলিশ-প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়নি।” সিপিএমের কৃষক সভার নেতা তথা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “মঙ্গলবার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সিঙ্গি পঞ্চায়তের ঘি-দহ গ্রামে মঙ্গলবার আমাদের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। অভিযোগ জানালেও পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
বোলপুরের আইসি দেবকুমার রায় বলেন, “পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোহ ঠিক নয়। সব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।” তৃণমূলের বোলপুর ব্লক সভাপতি রহিম চৌধুরীর দাবি, “নির্বাচনের মুখে পরিকল্পনা করে ওরাই এই কাজ করেছে। এতে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”