Advertisement
E-Paper

হস্টেলে রাঁধুনিকে হেনস্থার অভিযোগ

আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গে অবরোধে সামিল না হওয়ায় রাইপুরের প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসের এক রাঁধুনিকে খাবার বন্ধ করে দিয়ে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। ওই রাঁধুনি এ ব্যাপারে বিডিও এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের জেলা প্রকল্প আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। হস্টেলের আবাসিক ছাত্রী এবং সুপার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৪৮

আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গে অবরোধে সামিল না হওয়ায় রাইপুরের প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসের এক রাঁধুনিকে খাবার বন্ধ করে দিয়ে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। ওই রাঁধুনি এ ব্যাপারে বিডিও এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের জেলা প্রকল্প আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। হস্টেলের আবাসিক ছাত্রী এবং সুপার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ওই রাঁধুনির অভিযোগ, গত ১০ দিনের মধ্যে হস্টেলের ছাত্রীরা দু-দু’বার রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তাঁদের সেই অবরোধে সামিল হওয়ার জন্য ছাত্রীরা তাঁকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই অবরোধে সামিল হননি। সেই কারণে হস্টেলে তাঁর খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানসিক ভাবে তাঁকে হেনস্থাও করা হচ্ছে। সুপারের মদতেই ছাত্রীরা এটা করছেন বলে তাঁর দাবি।

হস্টেল থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। হস্টেলে রান্নার পরে বাড়ি থেকে দুপুরে বা রাতে খেয়ে আসা অসম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে হস্টেল থেকে খাবার পেলেও সোমবার থেকে তা বন্ধ করে দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। অবরোধে সামিল হওয়ার জন্য ওই রাঁধুনির উপরে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হস্টেলের ছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, “ওই রাঁধুনি রান্না করতে গিয়ে খাবার পুড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁকে বারবার সতর্ক করেও কাজ হয়নি। তাঁকে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।” যদিও হস্টেল সুপার তাপসী দে বলছেন, “রাঁধুনির দায়িত্ব রান্না করে দেওয়ার। আবাসিক ছাত্রীরা টাকা দিয়ে খাবার খান। সেই খাবার রাঁধুনিদের দেওয়ার নিয়ম নেই। এ ক্ষেত্রে ছাত্রীরা রাঁধুনিকে খাবার নাও দিতে পারেন। এতে হেনস্থার প্রশ্ন উঠছে কী করে?”

রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস বলেন, “ছাত্রীদের সঙ্গে অবরোধে সামিল হতে অস্বীকার করায় ওই হস্টেলের এক রাঁধুনিকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।” অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের বাঁকুড়া জেলা প্রকল্প আধিকারিক স্বরূপ শিকদার বলেন, “ওই হস্টেলে রাঁধুনিকে খাবার দেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে রাঁধুনিকে হেনস্থার যে অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

cook assault raipur residential women hostel
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy