E-Paper

ভাদ্রের শেষ পর্বেও বহাল বর্ষার ঘাটতি

মৌসম ভবনের হিসেবে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকাল। সেই হিসাবে বর্ষা কার্যত শেষ দফায় এসে গিয়েছে। শেষ দফায় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি মিলছে বটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৮
representational image

—প্রতীকী ছবি।

আষাঢ়, শ্রাবণ কবেই পেরিয়ে গিয়েছে। ভাদ্রও প্রায় শেষের পথে। তবুও গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি মেটেনি। বরং দেশের নিরিখে গাঙ্গেয় বঙ্গের ঘাটতি তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে এ বছর গাঙ্গেয় বঙ্গ বৃষ্টির ঘাটতি নিয়েই বর্ষা শেষ করবে কি না, সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ১ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গে ২৫ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে। তবে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে ৬ শতাংশ উদ্বৃত্ত বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে ১৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে।

মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ঘাটতির নিরিখে গাঙ্গেয় বঙ্গের আগে আছে কেরল (৪৫ শতাংশ), ঝাড়খণ্ড (৩৫ শতাংশ), উত্তরপ্রদেশ (৩১ শতাংশ), বিহার (২৭ শতাংশ) এবং নাগাল্যান্ড-মণিপুর-মিজোরাম-ত্রিপুরা (২৬ শতাংশ) এবং দক্ষিণ কর্নাটক (২৬ শতাংশ)।

মৌসম ভবনের হিসেবে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকাল। সেই হিসাবে বর্ষা কার্যত শেষ দফায় এসে গিয়েছে। শেষ দফায় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি মিলছে বটে। তবে চলতি মাসে জোরালো বৃষ্টি এসে ঘাটতি মিটিয়ে দেবে, এমন সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। আবহবিদেরা বলছেন, ন্যূনতম ১৯ শতাংশ ঘাটতি থাকলেও খাতায়-কলমে ‘স্বাভাবিক’ বর্ষা বলা যায়। কিন্তু গাঙ্গেয় বঙ্গে সেই পরিস্থিতি হবে কি না, বলা মুশকিল। তাঁরা এ-ও বলছেন, অতি অল্প সময়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে হয় তো পরিসংখ্যানের দিক থেকে বর্ষার ঘাটতি মিটবে। কিন্তু তাতে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি। কারণ, অতি প্রবল বৃষ্টি হলে মাঠের ফসল নষ্ট হতে পারে। বানভাসি হতে পারে কিছু এলাকা। শারদোৎসবের আগে সেই দুর্যোগ মানুষের ভোগান্তি বাড়াবে।

পূর্ব ভারতে এ বার বর্ষা যে কম মিলবে তা অবশ্য পূর্বাভাসে জানিয়েছিল মৌসম ভবন। কিন্তু গোটা দেশের বর্ষা মানচিত্র দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে বর্ষার চরিত্র কি বদলাচ্ছে? তাঁরা বলছেন, দেশের মরু এলাকা বলে পরিচিত পশ্চিম রাজস্থানে ৩৬ শতাংশ উদ্বৃত্ত বৃষ্টি মিলেছে। সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ এলাকায় ৪৬ শতাংশ উদ্বৃত্ত বৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শুধু এ বছর নয়, গত কয়েক বছর ধরেই মরু এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি মিলছে শুষ্ক এলাকা বলে পরিচিত উত্তর-পশ্চিম ভারতেও। বর্ষার চরিত্রে যে বদল আসছে তা মেনে নিচ্ছেন মৌসম ভবনের বিজ্ঞানীদের অনেকেও। তবে তাঁদের মতে, এই বদল স্থায়ী কি না, সে ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কয়েক বছরের পর্যবেক্ষণ জরুরি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Monsoon West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy