পায়েলের জন্য সুবিচার চাইতে এ বার পথে নামলেন তাঁর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বন্ধু-পরিজনদের সঙ্গে পা মিলিয়ে মৌনী মিছিলে হাঁটলেন তাঁরাও। পরে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলে ধুবুলিয়া নেতাজি পার্ক মোড়ে হল স্মরণসভা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মিছিল ও স্মরণসভার উদ্যোগ ছিল মূলত নদিয়ার ধুবুলিয়া দেশবন্ধু হাইস্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরই। ওই স্কুল থেকেই ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন পায়েল হাজরা। প্রধান শিক্ষক হায়দর আলি বিশ্বাস বলেন, “পায়েলের ব্যবহার অত্যন্ত ভাল ছিল। সেই ফুলের মতো মেয়েটাকে অকালে মরতে হল, এটা আমরা মানতে পারছি না। দোষীদের শাস্তি চাই।” বাংলা শিক্ষিকা তারা দে বলেন, “পায়েলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিনা বলেই পথে নেমেছি। আমরা এর বিচার চাই।”
গত বছর ফেব্রুয়ারিতেই হুগলির রিষড়া রেলপার্ক এলাকার বাসিন্দা, ব্যাঙ্ককর্মী কৃষ্ণেন্দু পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পায়েলের। কিন্তু পণের জন্য পায়েলকে চাপ দেওয়া হতে থাকে, মেয়ে হওয়ার পরে অত্যাচার শুরু হয়, কৃষ্ণেন্দু অফিসে এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তা নিয়ে আপত্তি করায় নির্যাতন চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। পঞ্চমীর দিন শ্বশুরবাড়ির শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহ মেলে। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর মা। পরের দিন স্বামী-শ্বশুর গ্রেফতার হয়। পায়েলের ছ’মাসের মেয়েকে নিয়ে দিন দশেক পালিয়ে বেড়ানোর পরে বারুইপুর থেকে শাশুড়ি এবং ননদকে পাকড়াও করে আনে পুলিশ। সকলেই আপাতত হাজতে।
শিশুটিকে দিদিমা মিনতি হাজরার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। হিন্দমোটরে বড় মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন তিনি ও বাকি দুই মেয়ে। বুধবার জ্বর থাকলেও এ দিন তা কমেছে। পায়েল-মিতাদের মৃত্যু নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা সাধারণ সভা করেছেন। ধুবুলিয়া থেকেও বেশ কয়েক জন সেখানে যোগ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy